আদালতের নির্দেশের পর ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করাতে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মোট ৮২২ কোম্পানির মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আগেই ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ছাড়পত্র দিয়েছে। তার আগেই কমিশনের দাবি মত ২২ কোম্পানি বাহিনী বাংলায় পাঠানো হয়েছে। এই ২২ কোম্পানি বাহিনীই বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রুটমার্চ করছে। বকেয়া রয়েছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা পাঠাতে গত শুক্রবারই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। গত দু’দিনে ওই বাহিনী আসেনি। কেন্দ্রের তরফেও কোনও উত্তর মেলেনি। এই অবস্থায় বকেয়া বাহিনী দ্রুত রাজ্যে পাঠাতে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
ইতিমধ্যেই বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের মধ্যে টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যের কোথায় কোথায়, কবে থেকে মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে সমস্যা। বিড়ম্বনায় পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা।
বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি, ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ফোর্স থেকে বাংলার ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাহিনী আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সূত্রে খবর, বাহিনীকে কবে কোথায় পৌঁছতে হবে এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশন। জানায়নি বাহিনী কোথায় থাকবে, তাদের গাড়ি, লজিস্টিক্সের আয়োজনও।
সমস্যা সমাধানে শনিবার দুপুরে দুটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে এসে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, কবে কোথায় বাহিনী পাঠাতে হবে তা যেন লিখিত ভাবে তাদের জানানো হয়। সেই অনুসারেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া, বাহিনী মোতায়েনের জন্য রেল বোর্ডের সঙ্গে আগে থেকে কথা বলতে হয়। কমিশন কিছু না জানালে তাও সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে বকেয়া ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে কমিশনের চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।