আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালতে হলফনামা জমা করতে হবে। এরপর মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারী পৃথক একটি হলফনামা দেবেন। তারপরই এই মামলার শুনানি হবে বলে নির্দেশ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিত ছিল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চেই হতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। তা না হলেও এই ভোটের নির্ধারিত সময় ছিল ২০২৩ সালের এপ্রিল, মে মাস। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেবে না, ভোটারদের ভয় দেখাবে বলে অভিযোগ বিরোদী রাজনৈতিক দলগুলির। মমতা সরকারের আমলে ২০১৩, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের নানা উদাহরণ তুলে ধরে এই দাবি বিরোধীদের। বিরোধী দলনেতা সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের স্বার্থে পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করার দাবি তুলেছিলেন। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পঞ্চায়েত ভোট চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এ দিন রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
তাহলে কী নির্ধারিত সময়ই হবে পঞ্চায়েত ভোট? বৃহস্পতিবা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।