রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ। তবে, গত তিন দিনে রাজ্যে সংক্রমণ দৈনিক ২০০ ছাড়ায়নি। এটাই স্বতিতে রাখছে স্বাস্থ্য দফতরকে। গত ৭২ ঘণ্টার প্রবণতা প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ১৯০ জন। এই সংখ্যা ধরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৯৫।
সামান্য বেড়েছে সংক্রমণের হারও । প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের কোভিড টেস্ট হয় এবং তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ০.৮৬ শতাংশ। এ নিয়ে মোট ৮৩ লক্ষ ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, রাজ্যে অনেক কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দফতরের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা যেমন কমেছে, পাশাপাশি বেড়েছে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ ২৬২ জন। ফলে সুস্থ হয়ে এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৭৭ জন।
দৈনিক সুস্থের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়ছে সুস্থতার হারও। রবিবার এই হার দাঁড়িয়েছে ৯৭.৫০ শতাংশে। তবে মৃত্যুর সংখ্যাটা কয়েক দিন সামান্য বাড়লেও ফের তা নিম্নমুখী। শনিবার ছাড়া গত কয়েক দিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাটা ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২ জনের। তবে শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ১।
এদিকে, দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে রবিবার কলকাতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় ৬৫ জন নতুন করে আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে এক জনের। সেখানে কলকাতায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬। মৃত্যু এক জনের। সারা রাজ্যের মধ্যে এই দুই জেলাতেই এ দিন করোনায় মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে, শুক্রবার থেকে গণটিকাকরণের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ১৬২০ জানুয়ারি যারা টিকা নিয়েছেন, শুক্রবার থেকে ২৮ দিনের হিসেবে তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তবে একটা বিতর্ক বেড়েছে দেশে ২৭ জনের মৃত্যু ঘিরে। অভিযোগ, করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফল এই মৃত্যু। কিন্তু মন্ত্রকের দাবি, ২৭ জনের মৃত্যুর সঙ্গে টিকাকরণের কোনও সম্পর্ক নেই।