পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা ৫১।
শুক্রবার প্রাণ গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণপুরে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুর ১ ব্লকের কেওড়াডাঙ্গা অঞ্চলে ২০৯ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন তিনি। মনোনয়নের পর থেকেই এলাকায় সন্ত্রীসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। গত ২১ জুন নিজের অঞ্চেলই দলীয় বৈঠকের মাঝে তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ছিল। ভোটের দিনও বুথের কাছে প্রবল মারধর করা হয়েছিল তাঁকে বলে অভিযোগ। সেই মারেই ভোলানাথ মণ্ডলের মাথার আঘাত লাগে। ভোটেও পরাজিত হন তিনি।
আরও পড়ুন- মমতার তৃণমূল পরিবারে বিয়ে, ছাদনাতলায় রাজ্যসভার এমপি ও লোকসভার সাংসদ-কন্যা
ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ভয়ে ঘরে ঢুকতে পারেননি তিনি। তাঁর উপর হামলা হতে পারে ভেবে এলাকাছাড়া ছিলেন। তার মধ্যে শুক্রবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। দুপুরেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।
বিজেপি প্রার্থীর এই মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করেছেন বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দীপক হালদার। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের খুনের রাজনীতির জন্য তাঁদের একের পর এক কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে এদিনই এনআরএসে মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের তৃণমূল কর্মীর। ৮ জুলাই বড়শিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বোমাবাজিতে গুরুতর জখম হন তৃণমূল কর্মী সইবুর রহমান ও তাঁর ভাই মইদুল রহমান। ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মৃত্যু হয় মইদুলের। আজ ভোর রাতে এনআরএসে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী সইবুরের।