বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর থানায়। শনিবার ফের পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে ট্রেন নম্বর ২২৩০২-তে। এদিনের ঘটনায় সি৬ নম্বর কোচের জানালার কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রেলসূত্রে খবর। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর মেলেনি। নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, ট্রেন নম্বর ২২৩০২ ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ৬ নম্বর কোচ লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা জানিয়েছে এই ঘটনায় একজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। যদিও অন্য একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ঘটনায় কোনও যাত্রীর আহত হওয়ার খবর নেই।
এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে মাত্র ২১ দিন হয়েছে। তার মধ্যে এনিয়ে চারবার পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে, যার জেরে আতঙ্কিত যাত্রীরা।কাটিহার ডিভিশনের RPF সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, '২২৩০২ ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ডালখোলা-তেলতা স্টেশন অতিক্রম করার সময় সি৬ কোচে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই স্থানটি বিহারের কাটিহারের বলরামপুর থানার অন্তর্গত। পাথর ছোড়ার ঘটনায় সি৬ কোচের ডান পাশের একটি কাঁচ ভেঙে গেছে। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF) একটি দলকে ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। হামলার কারণ এবং কে বা কারা কেন পাথর ছুঁড়ল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে'।
গত ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বারবার ট্রেন পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোত্তর। প্রথম দিনই মালদার কাছে বন্দে ভারত ট্রেনে পাথর ছোঁড়া হয়, তারপর থেকে একের পর এক পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, '২০২২ সালে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (NFR) এর অধীনে ৫০ টিরও বেশি এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে এবং নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপের একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি সচেতনতা অভিযান শুরু করা হয়েছে'। শুক্রবার বিকেল ৪.২৫ মিনিটে ডালখোলা ও তেলতা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। সি-৬ নম্বর কোচের ডান পাশের জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
আরপিএফ, ট্রেন এসকর্ট স্টাফদের তাদের ডিউটির সময় আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে সকল অঞ্চলে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে সেই সব স্থানে আরও বেশি আরপিএফ স্টাফ মোতায়েন মোতায়েন করা হয়েছে। রেলওয়ে আইন অনুসারে অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। জিআরপি/সিভিল পুলিশের সঙ্গে আরপিএফের সমন্বয়ের কাজ আরও জোরদার করা হয়েছে। ট্রেনে পাথর ছোড়ার পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় ধরা পড়লে সরকারী সম্পত্তির নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্তের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল, জরিমানা অথবা দুটোই হতে পারে।