/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/crime-scene-759.jpg)
দক্ষিণ কলকাতার স্কুলে উদ্ধার ছাত্রীর দেহ। প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী বেসরকারি স্কুলের শৌচাগারে পাওয়া গেল ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর মৃতদেহ। আজ দুপুরে স্কুলের কর্মীরা শৌচাগারে ওই ছাত্রীকে আবিষ্কার করেন অচৈতন্য অবস্থায়। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্কুলের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পদস্থ আইপিএস অধিকারিকরাও পৌঁছেছেন স্কুলে। ডাকা হয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার অফিসাররাও।
পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে যা জানা যাচ্ছে, ছাত্রীটির মুখে প্লাস্টিক জাতীয় কিছু গোঁজা ছিল। দেহে ছিল কিছু আঘাতের চিহ্ন, যা প্রাথমিক ভাবে স্ব-কৃত হওয়ার সম্ভাবনা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা, যদিও ময়নাতদন্তের আগে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মুশকিল। ছাত্রীটির দেহের পাশে পাওয়া গিয়েছে তিন পাতার একটি সুইসাইড নোট। ওই নোট ছাত্রীটিরই লেখা কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ।
স্কুলের সমস্ত সিসিটিভি-র ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কোন পরিস্থিতেতে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাত্রীটির মর্মান্তিক রহস্যমৃত্যু নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেননি। পুলিশের বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিতভাবে এই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।