হোমের ছেলে স্কুলে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ। নবম শ্রেণির এই ছাত্রের আদি বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহিতে। হুগলির সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মহম্মদ আল আমিন গত ১৩ মার্চ স্কুলের টিফিনের সময় থেকে নিখোঁজ। আর এই নিখোঁজ ছাত্রকে ঘিরে সিঙ্গুর এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সিঙ্গুর রূপনারায়ণপুরে অবস্থিত নিবেদিতা ওয়েলফেয়ার হোমে আল আমিন থাকত।
ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্লবকুমার মণ্ডল প্রথমে নিবেদিতা হোমে নিখোঁজের ঘটনাটি জানান। এরপর হোম থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। কিন্তু, কোথাও না-পাওয়ায় শেষমেশ সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হোমের অধ্যক্ষ সুচিত্রা কামলে। সিঙ্গুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। যদিও এখনও অবধি ওই নাবালক ছাত্রের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পল্লবকুমার মন্ডল এবিষয়ে জানান, ১৩ তারিখ স্কুলের টিফিনের পর থেকে আল আমিনকে দেখতে না-পেয়ে হোম থেকে আসা অন্যান্য ছাত্ররা বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর আমি হোম কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটা জানিয়ে দিই। লিখিতভাবেই জানানো হয়। হোম কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘দিদি’র প্রস্তাব, রাজি ‘ভাই’, বাংলার পর্যটন অ্যাম্বাসেডর দেব
অন্যদিকে সিঙ্গুর থানার ওসি জানান, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছেন। এখনও ওই ছাত্রের কোনও খোঁজ মেলেনি। ঘটনায় ওই ছাত্রের সহপাঠীদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আশপাশের থানাতেও নিখোঁজ ছাত্রের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি শিশুপাচার না অন্য কোনও বিষয়, সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের আশপাশেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ওই ছাত্রকে শেষবার কোথায় দেখা গিয়েছিল, তা-জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হোম কর্তৃপক্ষ। স্কুল থেকে কীভাবে ওই ছাত্র নিখোঁজ হয়ে গেল, তা তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না। স্কুলে থাকাকালীন ছাত্রের সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ কি এই দায় কোনওভাবেই এড়াতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলছেন ওই স্কুলের অভিভাবকরা।