আবারও চূড়ান্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটানা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভে আটকে রইলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শেষমেশ মাঝরাতে নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে উপাচার্যকে ঘেরাওমুক্ত করে। একাধিক দাবিতে বুধবার উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখালে আন্দোলনরত ছাত্রদের সামলাতে উপাচার্য নাকি তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। যদিও এই অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া মেলেনি উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এদিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উপাচার্যকে ঘেরাও করে রেখে চলে তুমুল বিক্ষোভ।
ফের উত্তাল পরিস্থিতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার একদল পড়ুয়া বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সেই ছাত্ররা প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর অভিযোগ, উপাচার্য বিক্ষোভ সামলাতে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি আরাও ঘোরালো হয়ে ওঠে। ব্যাপক সংখ্যায় ছাত্রছাত্রীরা এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘেরাও করে রেখে দেওয়া হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে।
আরও পড়ুন- কড়া নির্দেশ এড়ালেন না শিক্ষাসচিব, রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও কোর্টে হাজির মণীশ জৈন
একটানা ঘেরাও-বিক্ষোভে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষমেশ ১০ ঘন্টা পর ঘেরাও মুক্ত হন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে ঘেরাওমুক্ত হয়েছেন উপাচার্য। এদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন বিশ্বভারতীর ছাত্রী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্যকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে বচসায় জড়াতেও দেখা যায়।
বিশ্বভারতীর ছাত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ''রাত আড়াইটে নাগাদ সাধারণ পোশাকে বহিরাগত গুণ্ডাদের ফোন করে ডাকেন উপাচার্য। তারা বাঁশ, লাঠি ও শাবল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনের গেট দিযে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করে। রাকিবুল, দেবদত্ত, সুপ্রিয় সহ অসংখ্য ছেলেদের উপর চড়াও হয়। বাধ্য হয়ে এই মুহুর্তে উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতার সামনে মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে পড়ুয়ারা।''
যদিও তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের এই অভিযোগের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তরফে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও ছাত্র বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।