করোনার ঊর্ধ্বগতির দাপটে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে মমতা সরকারের সঙ্গেই সহমত পোষণ করলেন রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে একমত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি জানান যে এই মুহুর্তে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সুরঞ্জন দাস বলেন, "শুধু রাজ্য সরকার নয়, সিবিএসই এবং সিআইএসসিই বোর্ডও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের এই অবস্থায়। বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। এই মুহুর্তে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার চেয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে শিক্ষার্থীদের জীবনকে বিপন্ন না করেই যেন ভর্তি প্রক্রিয়া করা যায়।"
যদিও অনেক সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে এখনই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারবে না তারা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর বলেন, "আগে রেজাল্ট বের হোক। কীভাবে বাতিল পরীক্ষার নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটার মূল্যায়ণ করে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা করা হবে। হ্যাঁ এটা ঠিক যে এবারে ভর্তি প্রক্রিয়া দেরিতে হবে। কারণ ৩১ জুলাই অবধি সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।"
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানিয়েছেন শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন