দীর্ঘ দিন রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। সরব যাবপুর থেকে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এসএফআই, ফেটসুর কর্মী, সমর্থকরা। মুখর বিরোধী রাজনৈতির দল ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলিও। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগে ছাত্র ভোট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানিয়েছিলেন, এনিয়ে কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রীর সময় চেয়েছেন তিনি। কিন্তু, বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর সময় পাননি তিনি। আর বর্তমানে রাজ্যের আগ্রাধিকার পঞ্চায়েত ভোট। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়, তার পরই বাংলায় ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সংস্কৃত কলেজের একটি অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছাত্র ভোট নিয়ে এখনও আমার কোনও দিন কথা হয়নি। ছাত্র ভোট হবে। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ভোট হবে। তবে এখন আগ্রাধিকার পঞ্চায়েত ভোট। আশা করছি, পঞ্চায়েত ভোটের পরে খুব দ্রুত ছাত্র সাংসদ নির্বাচন করতে পারব। কেউ যদি এরপরও বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন করতে চান তবে করতেই পারেন।'
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, 'সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দিনে না হলেও একই সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। দক্ষিণবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে এক দিন ভোট হলে উত্তরবঙ্গে আরেক দিনে ভোট হবে। অন্য দিনে হবে পশ্চিমাঞ্চলে ভোট।'