পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে ছাত্রদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় এক অশিক্ষক কর্মীকে প্রাণ খোয়াতে হল। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ স্কুলেরই ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের দত্তপুকুরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
দত্তপুকুরের বরা গ্রামের ছোট জাগুলিয়া হাইস্কুল। এই স্কুলেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার হলে পড়ুয়াদের মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই কারণেই বুধবার কয়েকজন ছাত্র মোবাইল নিয়ে স্কুলে ঢুকতে চাইলে তাঁদের বাধা দিয়েছিলেন ওই স্কুলেরই এক অশিক্ষক কর্মী। অভিযোগ, বাধা দেওয়ায় ওই অশিক্ষক কর্মীর উপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয় ছাত্ররা। তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে তারা। ছাত্রদের গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
এদিকে, ছাত্রদের মারে স্কুলের অশিক্ষক কর্মীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এসে ভিড় জমান স্কুলে। ছুটে আসে মৃতের পরিবারও। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। অভিযুক্ত ছাত্রদের গ্রেফতারের দাবিতে স্কুলে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। এই ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছে যায় দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- শীতেই রাজনীতির আঁচে উত্তপ্ত দার্জিলিং, কংগ্রেসে বিনয়, ফের প্রশ্ন উঠছে পাহাড় কার?
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও স্কুলে যান। অভিযুক্ত ছাত্রদের গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীরা প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে। কোনওমতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।