'স্যার আমাদের ছেড়ে যেও না', মাস্টারমশাইকে জড়িয়ে হাউহাউ করে কান্না খুদে পড়ুয়াদের

শিক্ষকের বদলি রুখতে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও এদিন পথে নেমেছিলেন।

শিক্ষকের বদলি রুখতে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও এদিন পথে নেমেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Students cry to prevent the transfer of their beloved teacher

মাস্টারমশাইকে জড়িয়ে ধরে কান্না খুদে পড়ুয়াদের। ছবি: কৌশিক দাস।

'স্যার আপনি যাবেন না', অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়া মাস্টারমশাইয়ের পথ আটকে বাধা পড়ুয়াদের। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি ওই শিক্ষকের বদলি রুখতে অভিভাবকরাও এদিন তাঁর পথ আটকেছেন। এমনকী কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা গিয়েছে প্রাথমিক স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা এখন জোর চর্চায়।

Advertisment

নন্দকুমারের বরগোদা জালপাই প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলেরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখর ধর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁর বদলির নির্দেশ এসেছে। তাঁর পরিবর্তে ওই স্কুলে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আর সেটাই মেনে নিতে নারাজ ওই স্কুলের ছোট-ছোট ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। স্কুলের নিয়োগে এই দুর্নীতি গোটা শিক্ষক সমাজকেই কলুষিত করেছে। সেখানে বরগোদা জলপাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখর ধরের বদলে রুখতে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছাত্রছাত্রীরা এবং বদলির প্রতিবাদে সামিল হলেন তাদের অভিভাবকেরাও।

মঙ্গলবার স্কুল শুরুর সময় থেকে স্কুলের সামনে জড়ো হয়, ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা। স্কুলের সামনের রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষক বদলির বিরুদ্ধে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এক অভিভাবক বলেন, 'শিক্ষক শেখর ধরের কারণে স্কুলের সামগ্রিক মানোন্নয়নের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার প্রতিভা বিকশিত হয়েছে। এখন যদি সেই শিক্ষক বদলি হয়ে যায় তাহলে তো স্কুলটাই অচল হয়ে পড়বে।'

Advertisment

আরও পড়ুন- দাবি আদায়ে পুরনো কায়দায় আন্দোলনে মমতা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় মুখ্যমন্ত্রী

এ বিষয়ে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখর ধর বলেন, 'চাকরি জীবনের প্রায় ২২ বছর এই স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। শেষ সাত বছর ধরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছি। সরকারি নির্দেশে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছেন। তাই আমাকে অন্যত্র চলে যেতে হবে। ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা আমায় যে ভালোবাসায় বেঁধে রেখেছেন তাতে আমি আপ্লুত।'

students West Bengal TEACHERS