ধর্মতলায় একুশের সভামঞ্চে জ্বলজ্বল করছেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। ২০১১-য় পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করা বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশের কার্যত মুখ ছিলেন তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তালটা যেন কাটছিল। 'দ্য কেরালা স্টোরি' এরাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন এই চিত্রশিল্পী। এমনকী ভোট হিংসাতেও শুভাপ্রসন্ন নিশানা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোকেই। যদিও পরে 'ডিগবাজি'তেও সময় নেননি তিনি। আর আজ একুশের মঞ্চ আলো করে তাঁর উজ্বল উপস্থিতি বুঝিয়ে দিল….'সব ঠিকই আছে'।
বুদ্ধিজীবীদের একাংশের মধ্যে শুভাপ্রসন্ন বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কাছেই থাকেন। সেই শুভাপ্রসন্নই যেন ইদানিং একটু উলটো সুরে গান ধরেছিলেন। এরাজ্যে হিন্দি ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় এই বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেছিলেন শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেছিলেন, 'মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল। কিন্তু মমতাকে দিয়ে নয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর বিকল্প ছিল না। তাই আমরা মমতাকেই বলেছিলাম।'
শুধু তাই নয়। পঞ্চায়ত ভোটে হিংসা নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করতে দেখা যায় শুভাপ্রসন্নকে। তিনি বলেছিলেন, 'ভোটে এমন হিংসা আর কোথাও হয় না। গণতন্ত্রের উৎসবে এত মৃত্যু! এই সংস্কৃতির বদল দরকার। এই বাংলায় পরিবর্তন দরকার। আবার আমরা মিছিল করব।'
তবে একথা বলার পর 'ডিগবাজি'তেও সময় নেনিন শুভাপ্রসন্ন। একুশের সভার কিছুদিন আগে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'রুদালি নয় যে কথায় কথায় পথে নামব। রাস্তায় নামার সময় এখনও আসেনি।' আর আজ কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চে দেখা গেল সেই শুভাপ্রসন্নকে। কিছু না বলেও যেন বোঝালেন, 'সব ঠিকই আছে'।