এবার করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আপাতত বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। তবে, বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তিরা থাকায় চিকিৎসার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীর মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও গতকালের তুলনায় শুভেন্দু অধিকারীর জ্বর কিছুটা কমেছে বলে খবর।
শুক্রবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সাংসদ শিশির অধিকারীকে ফোন করেন। একই সঙ্গে অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের শারীরিক অবস্থার খোঁচ নেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছেযে, মন্ত্রীর মা গায়ত্রী অধিকারীর শরীরেও করোনা জীবাণু মিলেছে। কিছুদিন আগেই তাঁর শরীরের একটি অস্ত্রোপচার হয়। তার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গায়ত্রী দেবী। তাঁকে হস্পতিবার রাতেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে কোভিড আক্রান্ত হন শুভেন্দু অধিকারীর দাদা ও ভাইপো।
করোনা আবাহ ও আমফানের মধ্যেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে পরিবহণমন্ত্রীকে। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগেই দলীয় কাজে সোনাচূড়ায় গিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। একই সঙ্গে তিনি দুই দফতরের কাজও সামলাচ্ছিলেন। মেনে চলছিলেন করোনা স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু তার মধ্যেই সংক্রমিত হলেন মন্ত্রী।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু থেকে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁরা সুস্থ। এছাড়াও শাসক দলের একাধিক বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিও ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন। তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ, সমরেশ দাসের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন