Advertisment

রাজ্যের থেকে লকডাউনে শিশু অধিকার লংঘনের রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

রাজ্যকে আগামী ২৫ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পুরো বিষয়টি দেখার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আনুরোধ করেছেন বিচারপতিরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কলকাতা হাইকোর্ট

রাজ্যের থেকে লকডাউনে শিশু আধিকার লংঘন সম্পর্কিত সম্পূর্ণ রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট এই রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে তলব করেছে। নির্দেশে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হরিশ ট্যানডন বলেছেন, 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেছেন শিশুদের যৌন হেনস্থা, অন্যান্য অধিকার লংঘনের সঙ্গেই গার্হস্থ্য হিংসা লকডাউনে বেড়েছে।' যার ভিত্তিতে বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যের থেকে চাওয়া হয়েছে। রাজ্যকে আগামী ২৫ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পুরো বিষয়টি দেখার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আনুরোধ করেছেন বিচারপতিরা।

Advertisment

মহিলা-শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতর ইতিমধ্যেই একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ, নিয়মিতভাবে পুনরুদ্ধার পরবর্তী ফলোআপ পরিচালনা করার জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা হয়েছে।

রিপোর্টে 'উদ্ধার হওয়া শিশুদের' শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা, খাদ্য সুরক্ষা এবং কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে সাবধানতা অবলম্বন সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সাধারণ তথ্যের উল্লেখ রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ নিজে ফোন কথা বলে। আদালতে জানিয়েছে কমিশন। হিংসার কবলমুক্ত শিশুরা কেমন রয়েছে সপ্তাহে একবার অন্তত জেলা ও রাজ্যস্তরের অফিসারেরা তার খোঁজ-খবর করেন বলে দাবি করা হয়েছে। ক্রমশ এই প্রক্রিয়া উন্নত করার চেষ্টা চলছে বলেও কমিশন জানিয়েছে।

রাজ্যের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে হাইকোর্ট। তবে পদক্ষেপগুলো আরও ভালো করে বোঝার জন্য মহিলা-শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতরের সচিবকে বিভিন্ন নির্দেশ, এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, প্রশ্নমালার ধরন ও কয়েকটি ঘটনার বিবরণ জানাতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের তরফে শুধু বাঁকুড়া জেলার রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। ওই জেলায় ৩২ নাবালিকার বিয়ে রোখা সম্ভব হয়েছে ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ। তবে এই রিপোর্টে খুশি নয় আদালত। এমনকী ওয়েবসাইটে জেলার তথ্য ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আপলোড করা রয়েছে। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, 'আমরা বিস্তারিতভাবে আরও সুচারু ও স্পষ্ট তথ্য চাই। শুনানির সময়ই হলফনামার খামতি নজরে আনা হয়েছে।' আদালতের নির্দেশ বিস্তারিত তথ্য তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা-শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতরের এক আধিকারিক।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Calcutta High Court
Advertisment