/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/Akhil-Giri-new.jpg)
Akhil Giri: অখিল গিরি।
Akhil Giri: এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কুকথার পরে দল তাঁকে সতর্ক করেছিল। তবে সেই সতর্কবার্তায় যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, তার সদ্য প্রমাণ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। এবার কাঁথির মহিলা রেঞ্জারকে বেনজির আক্রমণের পর কারামন্ত্রীর 'চাকরি' যাওয়া প্রায় পাকা। অখিলে রেগে আগুন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দলে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবার অখিল গিরিকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা বনাধিকারিকের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে কারামন্ত্রীকে।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে এবার আর হয়তো 'পার' পাবেন না কারামন্ত্রী অখিল গিরি। কাঁথির মহিলা রেঞ্জারকে যে ভাষায় তিনি কথা বলেছেন তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁরই নির্দেশে শেষমেষ সম্ভবত মন্ত্রিত্ব খোয়াতে চলেছেন অখিল গিরি।
উল্লেখ্য গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে ওই মহিলা বনাধিকারিককে বেয়াদপ, জানোয়ার বলেছিলেন অখিল গিরি। তাঁর বিরুদ্ধে সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে অখিল গিরিকে ওই মহিলা বনাধিকারিকের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, দলের চাপে পড়েও কাঁথির মহিলা বনাধিকারিকের ক্ষমা না চেয়ে শুধুমাত্র নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্টে সেদিনের ঘটনার দায় ওই বনাধিকারিকের উপরেই চাপিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- Akhil Giri: ‘বেয়াদপ, জানোয়ার’, মহিলা ফরেস্ট অফিসারকে আক্রমণ অখিল গিরির! বলে দিলেন চাকরির ‘আয়ু’
অখিল গুলির এহেন পদক্ষেপে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এর পরেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে অখিল গিরির সঙ্গে কথা বলতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে অখিল গিরিকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে দল।