Wheel Chair Marathon: কোন রমকের প্রতিবন্ধকতা থমকে দিতে পারেনি প্রীতমের জীবন জার্নিকে। হুইল চেয়ারে বসেই একের পর এক ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তাতে সফল হয়ে চমকে দিয়েছেন হাওড়ার প্রীতম মেদ্দা। তার এই কাহিনী লাখো লাখো মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
নিখাদ মনের জোরকে সঙ্গী করেই যে জীবনের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব তা প্রমাণ করেছে ডোমজুড়ের প্রীতম মেদ্দা। ছোট বেলায় গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডে সাংঘাতিক চোট পেয়ে জীবনের অর্থটা বদলে গিয়েছিল প্রীতমের কাছে। তার পরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অংশ নিয়েছেন একের পর হুইলচেয়ার ম্যারাথনে। প্রতি ক্ষেত্রেই সফল তিনি।
কোমরের নীচ থেকে পা পর্যন্ত অসাড়। বহু চিকিৎসাতেও কোন ফল হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে রোজকার জীবনে হুইল চেয়ারই সঙ্গী ডোমজুড়ের প্রীতমের। তবে হুইল চেয়ারে বসে থেকে একের পর এক প্রতিযোগিতায় পাহাড় প্রমাণ সাফল্য ছিনিয়ে এনে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ডোমজুড়ের দফরপুর বেলাল পাড়ার এই যুবক। এরপরের লক্ষ্য জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন।
আরও পড়ুন : < Soham Chakraborty: বিরাট স্বস্তিতে বিধায়ক-অভিনেতা, সোহমের জামিন মঞ্জুর করল আদালত >
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হুইল চেয়ার ম্যারাথনে সাফল্য চমকে দিয়েছে সকলকে। প্রীতম আজ হয়ে উঠেছে অনেকের কাছেই এক অনুপ্রেরণা। ছেলের এই সাফল্য প্রসঙ্গে মা কাকলী দেবী বলেছেন, "ছোট থেকেই ও খেলাধুলায় ভালো ছিল। স্কুলেও একাধিক পদক জয় করেছে সে। হঠাৎ এক দুর্ঘটনা প্রীতমের জীবনের মানেটাই বদলে দিয়েছে। এখন মনের জোরকে সঙ্গী করেই একের পর প্রতিযোগিতায় সফল সে"।
মনের জোরকে সম্বল করে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের স্বপ্ন দেখে প্রীতম। বাবা চাষের কাজ করেন। সেভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই পরিবারে। প্রীতম বলেন, ২০২১ এ প্রথম ম্যারাথনে অংশ নিয়েই সাফল্য আসে। তারপর থেকে একে একে ১৪-১৫টির বেশি ম্যারাথনে অংশ নিয়ে কোথাও দ্বিতীয় কোথাও তৃতীয় স্থান অধিকার করি। এখন লক্ষ্য জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। তবে সেক্ষেত্রে আর্থিক অনটন প্রধান বাধা।
প্রীতমের এই সাফল্যকে স্যালুট জানিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। হুইল চেয়ার নিয়ে ট্রেনে বাসে চেপে ম্যারাথনের যোগ দিতে একাই পৌঁছে দেশের নানান প্রান্তে। ম্যারাথনে একের পর এক সফলতা অর্জন করে প্রীতম এখন বেশ আত্মবিশ্বাসী।