মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের একবার ঘূর্ণিঝড় আপডেট নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘এদিন দুপুরে হালিশহর আর চুঁচুঁরায় ছোট ঘূর্ণিঝড় হয়েছে কয়েক মিনিটের। দুই জায়গাতেই ৪০টির মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকজন সামান্য আহত। পান্ডুয়ায় তরিদাহত হয়ে দুই বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু।‘ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থনা বেশি ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয়। তবে সাগর দ্বীপে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত ১১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে ত্রান শিবিরে নিয়ে যাওয়ায় হয়েছে। আমাদের সব বিভাগ সজাগ রয়েছে। রাতের দিকটা সতর্ক থাকতে হবে আর বিদ্যুতের দিকটা দেখে রাখা। প্রায় ৩ লক্ষ সরকারি কর্মী পুলিশকর্মী-সহ কাজ করছে।‘
এদিন দুপুরের পরেও মুখ্যমন্ত্রী একটা সাংবাদিক বৈঠক করেন। এদিন রাতে তিনি নবান্নেই থাকছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে স্পষ্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ‘বীজপুর, হালিশহর আর চিনশুরায় যেটা হয়েছে, সেটা প্রি-ল্যান্ড এফেক্ট।‘
এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ভবনের কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে ঘূর্ণিঝড় 'যশে'র প্রভাব রাজ্যের কোথায় কোথায় পড়েছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুরেশ কুমার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সিএমডি শান্তনু বোস।