তৃণমূলে তাপস সুদীপ বিতর্ক যেন থামার নয়। গত মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার সাংসদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় আনুগত্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। যদিও তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ স্বংয় জোড়-ফুল সাংসদ। তাঁর প্রশ্ন, 'আমি সর্বদল বৈঠকে মোদীর সামনে বসি। অতএব আমার বিজেপির ছোট কোনও নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব?' এরপরই দলীয় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে বেরনোর সময় তাপসকে নিশানা করে সুদীপ বলেন, 'হাতি চলে বাজার…। এই যে হাতি চলছে…।' যার পাল্টা শুক্রবার তোপ দাগলেন তৃণণূল বিধায়ক তাপস রায়।
কী বললেন তাপস?
নিজেকে ৫ বারের বিধায়ক, ১০ বছরের কাউন্সিলর বলে দাবি করে বরানগরের বিধায়ক তাপল রায় বলেন, 'আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্শীবাদধন্য। কিন্তু আমার কোনও ব্ল্যাকস্পট নেই। কালিমালিপ্ত নই। দুর্নীতিগ্রস্ত নই। হেফাজতে থাকিনি। অতএব যিনি নিজেকে হাতি বলছেন তাঁরা আর ওই প্রবাদ ব্যবহার করবেন না। আমরা দলের সাদা হাতি নই। আমরা হলাম দলের ডোবারম্যান, গ্রেটডেন। শত্রু দেখলে তেড়ে যাই। আমরা অনুৎপাদক নই।'
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামনাসামনি বসে তিনি আলোচনা করেন বলে বৃহস্পতিবারই দাবি করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পাল্টা তাপস রায় বলেন, 'আমরা নরেন্দ্র মোদী, ওম বিড়লা, অমিত শাহকে শুঁড় নাড়িয়ে বন্দনা, ভজনা করিনা। ওনাকে কী মোদীর কোর্ট সুন্দর বলার জন্য দল ওখানে পাঠিয়েছে? কিন্তু, এটার জন্য মোদী ওনাকে কোর্টের কাপড় দিয়েছিলেন। আবার ওই কাপড়ের তৈরি কোর্ট পড়েই উনি সর্বদল বৈঠকে গেলেন।'
কেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গত আড়াই বছরে মোদী সরকারের বিভিন্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হননি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাপস রায়। বিধায়কের কথায়, 'উদীয়মান নেতা অভিষেকের স্ত্রী বাচ্চা কোলে যখন সিবিআই অফিসে যাচ্ছে তখন সাংসদ মোদীর সঙ্গে ওনার পাঠানো কোর্ট পড়েই বৈঠকে ব্যস্ত থাকেন। এটা ডেডিকেটেড দলীয় কর্মীদের কাছে কী বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে?'
সংগঠন করে নয়, 'ম্যানুপুলেট' করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পদাধিকারী বলে দাবি করেছেন তাপস রায়। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সাংসদ ওম বিড়লার কাছে কদর্য কথা বলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিধায়ক।