শুভেন্দর অধিকারী তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। ফের একবার এই দাবি করলেন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। শুধু শুভেন্দুই নন, তাঁর ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীকেও টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সুদীপ্ত। এছাড়া, সিবিআই-কে দেওয়া তাঁর চিঠিতে সারদার অর্থপ্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীরও। নিজে মুখেই সেকথা জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন।
শুক্রবার একটি মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় সুদীপ্ত সেনকে। আদালতে ঢোকার মুখে সারদা কর্তা বলেছেন, 'কন্টাইতে হাইরাইড বিল্ডিং করার জন্য ৫০ লক্ষা টাকা কন্টাই পুরসভাকে ডিপোজিট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আমরা করলাম। ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে লেবার হাট শেষ করলেও আমাদের প্ল্যান দেওয়া হয়নি।' এরপরই তাঁর দাবি, 'তার আগে সৌমেন্দু অধিকারীকেও টাকা দেওয়া হয়েছিল।' সুদীপ্ত বলেন, 'সিবিআইকে আমি যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতে অনেকের নাম আছে। মুকুল রায়, অধীর চৌধুরীর নামও আছে।'
গত শুক্রবারই বিধানগরের এমপি-এমএলএ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সেদিন আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিলেন,'সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম আমি সেখানেই সব বিস্তারিত লেখা রয়েছে। আমি তাতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম লিখেছিলাম। শুভেন্দু অধিকারী অনেকবার টাকা নিয়েছিল। টাকার জন্য উনি আমায় ব্ল্যাকমেল করতেন। একটা জমির স্যাংশন প্ল্যানের ব্যাপার ছিল।’
এরপরই সুদীপ্ত সেনের সেই বক্তব্যই লুফে নেয় জোড়া-ফুল শিবির। তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়। জানতে চাওয়া হয়, কী কারণে সারদা কর্ণধারের থেকে টাকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? সুদীপ্ত সেনের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্তের স্বার্থে কেন বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করা হবে না? রাজ্যপাল কেন সুদীপ্ত সেনের দাবি নিয়ে নীরব?
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে গত সোমবার মিছিল করে তৃণমূল, আবস্থান চলে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে। পরে, রাজ্যপালের কাছে গিয়েও শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি জানান তৃণমূলের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল।