Advertisment

সারদা নিয়ে মমতাকে 'প্যাঁচে ফেলা' কুণাল-তির ঢাল, সুজন তেড়েফুঁড়ে ধুলেন তৃণমূলকে

এবার কুণাল ঘোষকে পাল্টা সুজন চক্রবর্তীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sujan criticizes kunal on his statement what accused mamata in saradha scam

কুণালকে বিঁধে মমতাকে আক্রমণ সুজনের।

এবার কুণাল ঘোষকে পাল্টা সুজন চক্রবর্তীর। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে আক্রমণ করতে গিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করেছেন সিপিএম নেতা। টুইটে সুজন চক্রবর্তী লিখেছেন, 'সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী বলে কুণাল যে মমতা ব্যানার্জিকে অভিযুক্ত করেছিলেন তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কবে শুরু হবে?।'

Advertisment

বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি সুজন চক্রবর্তীর নামেও ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনেছিলেন। পরে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও দাবি করেন সিবিআইয়ের উচিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বসিয়ে সুজন-শুভেন্দু-দিলীপদের জেরা করা। তাঁর নামে কুণাল সুর চড়াতেই এবার পাল্টা পথে সুজনও।

টুইটে বাম নেতা লিখেছেন, 'পার্থবাবু জেলে থেকে যাদের নামে অভিযোগ করেছেন তাদের হেফাজতে নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, কুণাল ঘোষ বলছেন। বেশ তো! তাহলে সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী বলে কুনাল যে মমতা ব্যানার্জিকে অভিযুক্ত করেছিলেন তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কবে শুরু হবে? আমি রাজি। ওরা প্রস্তুত তো!!'

আরও পড়ুন- শিক্ষায় ‘দুর্নীতি’ বাম আমলেও! CAG-এর রিপোর্টে তোলপাড়

উল্লেখ্য, গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯-১০ সালের সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন যেহেতু আমি বলেছি আমি করতে পারব না, আমি নিয়োগকর্তা নই। এব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ১১-১২ সালটা দেখুন না।’

আরও পড়ুন- ওড়িশা থেকে ফিরেই বীরভূমের নেতাদের সঙ্গে আজ বৈঠকে মমতা, কেষ্ট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত?

এরই পাশাপাশি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর কলেজে চাকরি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। বাম আমলে সরকারি বধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কারচুপি করে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কলেজে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এব্যাপারে তৃণমূলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি চিঠিও প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সেই চিঠির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন সুজন। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কিনা সেব্যাপারে উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।

tmc sujan chakraborty CPIM Kunal Ghosh
Advertisment