সুজাপুরে বুধবারের গণ্ডগোল, পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন জ্বালানোর অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযানও। বৃহস্পতিবারই সুজাপুরকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। রাজ্য তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, 'স্থানীয় থানা ও মালদা জেলা পুলিশের থেকে এই ঘটনার সব রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
বনধ ঘিরে রণক্ষেত্র মালদা। ছবি: কৌশিক।
বুধবার সকালে বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘট উপলক্ষে অশান্তি ছড়িয়েছিল মালদহের কালিয়াচক ব্লকের সুজাপুরে। পাঁচটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু, দুপুরের পর থেকেই একটি ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে দেখা যায় উর্দি পরা কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা হাতে থাকা ফাইবার স্টিক দিয়ে গাড়ির কাচ ভাঙছেন। ঢিল ছুড়তেও দেখা যায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুজাপুরকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিআইডি। পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘মালদার সুজাপুরে মমতার পুলিশ গাড়ি ভেঙেছে’
বুধবারের এই ঘটনার পরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, 'ভিডিও ফুটেজ সত্যি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।'
পুলিশের দাবি, ধর্মঘটীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ও বোমা ছুড়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়তে হয় পুলিশকে। তারপরই পরিস্থিতি জটিল হয়। ওই ঘটনা ঘিরে শশুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস ও সিপিআইএম সুজাপুরকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
Read the full story in English