Abhishek Banerjee On Sujay Krishna Bhadras Voice Sample: শেষপর্যন্ত ইডির হাতে এসেছেনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র-র কণ্ঠস্বরের নমুনা। তবে ভয়েস ক্লিপের সঙ্গে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের মিলে রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই তাঁকে 'কালীঘাটের কাকু' র কণ্ঠস্বরের নমুনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। শুরুতে তিনি বলেন 'সেটা ইডি এবং কোর্টের বিষয়। আমি এখানে কী বলব?'
এরপরই অভিষেকের প্রশ্ন, 'যাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল, তাঁকে কি ইডি গ্রেতার করেছে?'
কী বোঝাতে চাইলেন তৃণমূল 'সেনাপতি'? কার সঙ্গে কথা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের, সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই বলেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে জল্পনা জিইয়ে রেখে অভিষেকের জবাব, 'আমি কেন বলব? সেটা ইডি বলবে।'
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'কালীঘাটের কাকু'-কে গ্রেফতারের পর ইডির তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে মরিয়া ছিল। জেল হেফাজতে যাওয়ার পর টানা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন 'কাকু'। সেই সময়ে এসএসকেএমের তরফে ধৃতের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, ফলে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানানো হয়।
অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিআরপিএফ জওয়ানের নিরাপত্তায় জোকা হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয় তাঁর গলার নমুনা সংগ্রহের জন্য। সেখানে রুটিন চেকআপের পর শুরু হয় ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। টানা দুঘণ্টা কাউন্সেলিংয়ের পর ইএনটি বিভাগে ‘কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু তার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট পাচ্ছিল না ইডি। সম্প্রতি এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নে মুখ পোড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তারপর রিপোর্ট চেয়ে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে চিঠি পাঠায় ইডি। শেষঅবধি ইডির হাতে আসে সজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট।