Sukant Majumdar Udayan Guha Duel: উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয় গুহকে (Udayan Guha) তীব্র ভাষায় নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukant Majumdar)। পাল্টা মুখ খুললেন দিনহাটার ডাকসাইটে বিধায়কও। যুযুধান দুই নেতার বাকযুদ্ধে ভরা শীতেও উত্তপ্ত রইল কোচবিহার।
কোচবিহার থেকে দিনহাটা যাচ্ছিলেন সুকান্ত। কিন্তু কোচবিহারের মরাপোড়া চৌপতিতে পুলিশ তাঁর কনভয় আটকে দেয়। আহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যেতে না পেরে রাস্তায় বসে পড়েন সুকান্ত। স্লোগান ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই অবরোধ চলার পর পুলিশের অনুরোধেই সেখান থেকে উঠে পড়েন সুকান্ত ও তাঁর সঙ্গীরা। তখন আবার উদয়নকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, তাঁদের কেন পুলিশ আটকাল তার কোনও ব্যাখ্যা তাঁর কাছে নেই। তবে তাঁর মনে হচ্ছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যত সংখ্যক লোক জড়ো হয়েছিলেন, তা উদয়ন গুহের 'ঝাঁটা বাহিনীর' চেয়ে অনেক বেশি। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সুকান্ত বলেন, 'কোচবিহারের নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছিলেন যে, সুকান্ত মজুমদার জেলায় এলে তাঁকে গাছে ড়ি বেঁধে রাখবে। আমি দম দেখতে এসেছি। আমি চলে এলাম, কিন্তু সেই গাছও নেই, দড়িও নেই, আঐর রবীন্দ্রনাথবাবুও নেই। সে এখন কোচবিহার শহরে বসে আছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি শুধু রবীন্দ্রনাথবাবু নয়, উদয়ন গুহর মতো বুড়ো ষাঁড়দেরও (old bull) খোঁয়াড়ে ঢুকিয়ে দিতে পারে। খোঁয়াড় বোঝেন তো? শুধু পুলিশ নিয়ে ওদের দাদাগিরি। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে ওদের সব মস্তানি শেষ। কিন্তু পুলিশ উদয়নের প্রেস্টিজ রক্ষা করতে তাঁর চ্যালার মতো কাজ করেছে। তবে আমরা উদয়ন গুহের বুকের উপরে উঠে দিনহাটাতে গিয়ে ওঁকে হারাব। পুলিশ না-থাকলে ২ মিনিটে বাড়িছাড়া হয়ে যাবেন উদয়ন। পুলিশের জন্য বাড়িতে থাকতে পারছেন।'
আরও পড়ুন- এস্কুলে পড়ুয়াদের সঙ্গে কুকুর-ছাগলও পেট পুরে খায় মিড ডে মিল! কারণ জানেন?
পাল্টা সুকান্তকে কটাক্ষ করেছেন উদয়ন গুহ। বলেছেন, 'আমি ষাঁড় না গরু, আমি বাঘ না হরিণ, সেটা মানুষ ঠিক জানে। আর ওরা (বিজেপি) তো দেখেই নিচ্ছে। দেখে নেওয়া মানে তো ইডি আসে। সিবিআই আসে। আরও কত কেন্দ্রীয় সংস্থা আসে। আমাদের এত নেতাকে দেখে নিচ্ছে, আমাকেও দেখে নিতে পারে। কিন্তু উদয়নের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির কথা বলতে পারবে না।' পুলিশের প্রশংসা করে মন্ত্রীর দাবি, 'পুলিশ বুঝতে পেরেছিল যে, ওরা এসেছে একটা অশান্তি সৃষ্টি করতে। ওর যদি কোনও কর্মীর বাড়িতে আসার দরকার হয়, এত লোকজন নিয়ে আসবে কেন? পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা মনে করেছে, তাই করেছে। এর সঙ্গে আমার তো কোনও সম্পর্ক নেই।'
আরও পড়ুন- সাইকেলেই হুগলি থেকে অযোধ্যা, রাম মন্দির দর্শনে যুবকের তোলপাড় ফেলা কীর্তি জোর চর্চায়