শনি, রবি, সোমবারের পর ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রিষড়া যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ডানকুনির দিল্লি রোডে সুকান্ত মজুমজার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোদের আটকে দিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারির কথা জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পথ আটকায় পুলিশ। অশান্ত রিষড়ার পরিস্থিতি দেখতে যাচ্ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তার আগেই তাঁকে আটেক দেয় পুলিশ। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়াতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষ নেতাকে।
রবিবার সন্ধে থেকে হুগলির রিষড়ায় অশান্তির আগুন জ্বলছে। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, আগুন লাগানো, মারধরের ঘটনা ঘটে। রিষড়ার ঘটনার জেরে শ্রীমারপুরেও পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে দেয়। কড়া নজরদারির ঘেরাটোপে রিষড়ার পাশাপাশি রাখা হয়েছে শ্রীরামপুরকেও। শ্রীরামপুরে রিষড়া-কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্নায় বসার কাথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তবে মঙ্গলবার সকালেই বিজেপির সেই ধর্নামঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘দুর্বৃত্তদের হাতে আইন তুলে নিতে দেব না’, রিষড়ায় কড়া বার্তা রাজ্যপাল আনন্দ বোসের
এদিন রিষড়ার দিকে যাওয়ার পথে ডানকুনির দিল্লি রোডের উপর সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। রাজ্যের সাম্প্রতিক অশান্তির জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন সুকান্ত। তিনি এদিন বলেন, 'যারা দাঙ্গা করেছে তাদের কিছু করা যাবে না, পুলিশকে এমনই নির্দেশ পুলিশমন্ত্রীর। দুই সাংসদ যেতে চাই। ইচ্ছে করে আটকাচ্ছে পুলিশ।'
আরও পড়ুন- প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা-নীরব দর্শক পুলিশ, শিবপুরের মতোই রিষড়ার হিংসায় ক্ষোভ স্থানীয়দের
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে রিষড়ায়। স্টেশন সলগ্ন এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি চলে। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। টানা কয়েক ঘণ্টা ট্রেন বন্ধের জেরে কয়েক হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে যান। রিষড়ার ঘটনার প্রতিবাদেই মঙ্গলবার শ্রীরামপুরের বটতলায় ধর্নামঞ্চ তৈরি করে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই ধর্নায় থাকবেন বলে ঠিক হয়েছিল। যদিও পুলিশ সেই ধর্না মঞ্চ সরিয়ে দিয়েছে।