মুখ্যমন্ত্রীকে লাগামহীন ভাষায় আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। মুখ্যমন্ত্রীকে 'হাফপ্যান্ট মন্ত্রী' বলে তোপ বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদদের। সুকান্ত মজুমদারের এহেন আক্রমণের পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
মুখ্যমন্ত্রীকে নজিরবিহীন আক্রমণ করে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'হাফপ্যান্ট মন্ত্রী' বলে তোপ সুকান্তর। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদদের এহেন আক্রমণের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।
শাসক দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ করে পাল্টা লেখা হয়েছে, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দিলীপ ঘোষের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য "শাড়ি ছেড়ে বারমুডা পরুন" মন্তব্যটি মনে আছে আপনাদের? এবার বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঠিক সেই রকমই নিম্নস্তরে নেমে গিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে "হাফ প্যান্ট মন্ত্রী" বলে কটাক্ষ করলেন।
একই চেনা নারী-বিদ্বেষ। একই চেনা বিজেপি। আসল কথা হল, বারবার একজন মহিলার কাছে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে তারা আর সেটা মেনে নিতে পারছে না। সেই হতাশাই এখন প্রকাশ পাচ্ছে অশ্লীল, অশালীন ভাষায়।আর এ কথা একজন বর্তমান সাংসদের মুখ থেকে এসেছে ভাবতেই লজ্জা লাগে। আসলে "লজ্জা" বললেও কম বলা হয়। "
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বেলায়। বিজেপি আজ 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালন করেছে রাজ্যজুড়ে। প্রথমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সুকান্ত মজুমদার। পরে সেখান থেকে বাইকে তিনি হরিশ মুখার্জী রোডের এক চিকিৎসকের বাড়িতে রওনা দেবেন বলে মনস্থির করেন।
পথে পুলিশের বাধা পেয়ে তাকে আটকে পড়তে হয়। এরই মধ্যে যে চিকিৎসকের বাড়িতে যাবেন বলে সুকান্ত মজুমদার ঠিক করেছিলেন তিনি মাঝ রাস্তায় এসে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন। ততক্ষণে এলাকায় ভিড় জমে গিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। ভবানীপুরে সুকান্ত মজুমদার সহ ওই চিকিৎসককে আটক করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।
সুকান্ত মজুমদার এবং ওই চিকিৎসককে টেনে হিচড়ে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের লালবাজার থেকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। লালবাজার থেকে বেরোনোর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ শুরু করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাকে হেনস্থার অভিযোগ করেন সুকান্ত। এমনকি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। শাসক দলের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে।