'ওঁরা অনেক সহ্যশক্তি দেখিয়েছেন, আমি থাকলে এখানে (কপালে হাত ঠেকিয়ে) গুলি করতাম।' ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের পরদিন আহত পুলিশ আধিকারিক দেখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে সোচ্চার হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, হিংসায় প্ররোচনা দিতেই ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ ওই মন্তব্য করেছিলেন। এরপর কেটে গিয়েছে ১৫ দিন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই সময়কালে অভিষেকের ওই 'গুলি' মন্তব্যের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর করতে চেয়েছিলেন তাঁদের একাধিক নেতা। কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এবার তাই অভিষেকের বিরুদ্ধে আদালতের দুয়ারে খোদ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে অভিষেকের 'গুলি' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলা করেছেন। তৃণমূল সাংসদ বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়েই এই মামলা হয়েছে।
বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন গেরুয়া নেতা, কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের নেতৃত্বে নবান্নমুখী পদ্ম মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। সুকান্ত, শুভেন্দুদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই অবস্থা ঘোরাল হয়। মধ্য কলকাতায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধর করা হয় পুলিশকে। সংঘর্ষে আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মী ও বিজেপি কর্মী, সমর্থক।
সংঘর্ষে আহত কলকাতা পুলিশের আধিকারিক দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসকেমে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে অভিযানের দিন পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। সেই সঙ্গেই বলেন, 'আমি স্যালুট করি, যে আপনারা কিছু করেননি। আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হত, তাহলে আমি মাথার ওপরে শুট করতাম।' যা নিয়ে প্রবল হইচই হয়। তৃণমূল সাংসদের ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করে নিন্দার সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।