প্রাক্তনের পথেই বর্তমান। সিবিআই নিয়ে দিলীপ ঘোষের অসন্তোষের সুর এবার বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে। দিন কয়েক আগেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে 'সেটিং'এর অভিযোগ করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি। ধমক খেতে হয়েছিল দলের সভাপতির কাছে। কিন্তু, তাতেও এ রাজ্যের বিভিন্ন তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতাদের ক্ষোভ কমছে না, উল্টে তা প্রকাশ্যে আসছে।
দিলীপ ঘোষ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে 'সেটিং' তত্ত্ব আওড়েছিলেন মূলত বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার গতি প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে। তিনি বলেছিলেন, 'গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যে সিবিআই তদন্ত চলছিল। কিন্তু কোনও তথ্য, নথি, সামনে আসছিল না। কেউ ধরা পড়ছিল না। এর কারণ কী? সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। সবার একটা পেট আছে। সবাই বিক্রি হয়। তার দাম থাকে। কেউ লক্ষে, কেউ কোটিতে, কেউ শ’কোটিতে। সিবিআই বিক্রি হচ্ছিল।'
আরও পড়ুন- ফ্ল্যাটের বারান্দায় মানিক! তবু খুঁজে পাচ্ছে না CBI, দিলীপ বললেন ‘রহস্য আছে’
এখানেই থামেননি তিনি। দিলীপ নিজের মন্তব্যে অনড় থেকে বলেছিলেন যে, 'সিবিআই আমার নিহত ৬০ জন কর্মী একজনের পরিবারকেও ন্যায় দিতে পারেনি। সেই সিবিআইকে তো আমি বলবই। আমি রাজনীতির লোক। কারও দায় আমার নেই। আমি কর্মীদের সঙ্গে আছি। ১০০ জন কর্মীর মৃতদেহের উপর মালা দিয়েছি। আমার বুকে জ্বালা আছে, আমি বলবই। কোনও কারও, কোনও সিবিআই, কোনও পুলিশ, কোনও সরকারের দায় আমার নেই।'
এরপরই জে পি নাড্ডা ফোনে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সংযত হতে বলেছিলেন বলে জানতে পারা গিয়েছিল।
যদিও তাতে কাজ হল না। দিলীপের পর এবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, 'আরও তাড়াতাড়ি কাজ হলে আমরা খুশি হতাম। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে, একবছর পার হয়ে গিয়েছে। এত দেরি করে গ্রেফতার হচ্ছে। আরও আগে তৎপর হলে আরও বেশি গ্রেফতার হতে পারত। আমরাও খুশি হতাম। অনেকটাই দেরি করে গ্রেফতার করা হচ্ছে।'
এদিকে এ দিনই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তৎপরতা নজরে পড়েছে। বীরভূম জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। কঙ্কালীতলা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত পঞ্চানন খাঁ, বাদল শর্মা ও তীর্থনাথ হাজরা সরাসরি হিংসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে সিবিআই।