রাজ্যপাল পদে বসেই বাংলা শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। এক মাস আগে হয়েছিল হাতেখড়ি। সোমবার থেকে বাংলা শেখা শুরু করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর এদিনই সিভি আনন্দ বোসের বাংলা শেখার অতি আগ্রহ নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে প্রশ্ন উঠল। যা নিয়েই শোরগোল।
এদিনই অ, আ, ক, খ শিখতে শুরু করেছেন রাজ্যপাল। যা নিয়েই সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ বলেন, 'রাজ্যপাল যত বাংলা শিখছেন তত সঠিক পথে চলে আসছেন। এটা তৃণমূলের রাগ। বাংলা শিখলেই উনি বুঝে যাবেন জয় বাংলা আসছে মুজিবর রাহমানের দেওয়া আওয়ামি লিগের স্লোগান। এছাড়া গ্রামের মানুষের থেকে সব জানতেই রাজ্যপালের বাংলা শেখা।'
তাহলে কী তৃণমূলকে শায়েস্তা করতেই রাজ্যপালের বাংলা শেখার তাগিদ? সেই প্রশ্নই উসকে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।
বাংলায় হাতেখড়ির দিন 'জয় বাংলা' মন্তব্য করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা নিশানা করেন রাজ্যপালের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তীকে। তড়িঘড়ি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। এরপরই পরিস্থিতি বদলাম। গত দু’মাসের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করে বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। বিবৃতি উল্লেখ ছিল, প্রথমত, ভারতের সংবিধানকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইনের শাসন সুনিশ্চিত করতেই হবে। তৃতীয়ত, বাংলার মানুষের উন্নয়নই একমাত্র কাজের লক্ষ্য হবে।
আরও পড়ুন- সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য বিরাট খবর, বড় ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতার
এরপরই বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, 'ট্র্যাকে ফিরছেন রাজ্যপাল'। এরপর থেকেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপাল নবান্নের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। বিবৃতি জারি করে কড়া হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। যার জেরে রাজভবন-নবান্নের সম্পর্কের সমীকরণের বদল ঘটতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদারের 'যত বাংলা শিখছেন রাজ্যপাল ততই সঠিক পথে চলে আসছেন' মন্তব্য বেশ তাৎপর্যবাহী।