Sukanta Majumdar on North Bengal: উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগে বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যভাগের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সুকান্ত মজুমদারের প্রস্তাবে স্বভাবতই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও তা উপেক্ষা করে উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ বিচ্ছিন্ন হলে, উত্তরবঙ্গেরই লাভ হবে। উত্তরবঙ্গ আরও অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে।
রাজ্য বিজেপিতে দ্বিমত
সুকান্ত মজুমদারের আগে ২০২১ সালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও পরে রাজ্য বিজেপির দক্ষিণবঙ্গের নেতাদের চাপে তিনি সুর নরম করতে বাধ্য হন। কিন্তু, বর্তমান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবার কার্যত ঘুরিয়ে সেই রাস্তাতেই হেঁটেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবে থাকলেও উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্ভব কি না, তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।
এই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, 'আজ (বুধবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি দেখা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই প্রস্তাব তুলে দিয়ে এসেছি যে, উত্তর-পূর্বের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সাদৃশ্য যা আছে, তার বিচারে উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যদি আগামিদিনে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবে উত্তরবঙ্গ যুক্ত হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর টাকা অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, অনুন্নত এই এলাকার (উত্তরবঙ্গ) উন্নয়ন হবে। আমার মনে হয়, রাজ্য সরকারেরও এতে বাধা থাকবে না। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা আমরা পাব।'
আরও পড়ুন- বিধানসভায় ‘চিটিংবাজ’ কটাক্ষ শুভেন্দুকে, বিধায়কের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ বিরোধী দলনেতার
তবে, সহযোগিতা দূর। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাটের সাংসদের এই প্রস্তাবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি এই প্রস্তাবকে 'চক্রান্ত' বলেও কটাক্ষ করেছেন। সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, 'উত্তরবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের থেকে আলাদা নয়। যে ৮ জেলার কথা বলা হচ্ছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গেরই অংশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ৪০টি নতুন রাজ্যের প্রস্তাব জমা পড়েছে। এটা বাংলা ভাগ করার চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়।'