আগামী বৃহস্পতিবার (৬ই এপ্রিল) হনুমান জয়ন্তী। ওই দিন ফের রাজ্যে আশান্তি ছড়াতে পারে বলে খেজুরিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়েই সরব গেরুয়া শিবির। এবার মুখ্যমন্ত্রীকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে রবিবার হুগলির রিষড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওই ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী করেছেন বিজেপিকে। যা উড়িয়ে দিয়েছে বাংলার বিজেপি নেতারা। দলীয় কর্মী, সমর্থকদের আক্রমণের বিরুদ্ধে এদিন রিষড়ায় যান সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। জিটি রোডে ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা ।তবে নাছোড়বান্দা ছিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে এদিন রিষড়ায় ঢোকার মুখে দুপুর থেকে অবস্থানে বসেন তিনি।
সন্ধ্যা গড়াতেই সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে জিটি রোড অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পাঁচ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অবশ্য সাধরণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে অবরধ প্রত্যাহার করে গেরুয়া দল। সেখান থেকেই তাঁর হুঁশিয়ারি, 'হনুমান জয়ন্তী বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। মুখ্যমন্ত্রী জানেন ভালো করে। তাই উনি উস্কাচ্ছেন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষদের। ৬ই এপ্রিল বিজেপিকে দলীয় কর্মসূচি পালনে পুলিশ ও তৃণমূল বাধা দিলে প্রয়োজনে আমাদের আইন হাতে তুলতে হবে। ওরা লাঠি হাতে এলে দেখাব আমরাও কি করতে পারি।'
সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, 'রামনবমীর মিছিল যারা আক্রমণ করল তাদের ধরা হল না। নির্দোশ হিন্দুদের ধরা হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।' সুর চড়িয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতির ঘোষণা, 'এইরকম চলতে থাকলে মঙ্গলবার থেকে শ্রীরামপুরের বটতলায় অবস্থানে বসবো।'
সুকান্ত আসার ঘন্টা দেড়েক আগে হুগলি ঘুরে যান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অবশ্য উপদ্রুত এলাকা এড়িয়ে গিয়ে দলীয় বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে যান হিন্দমোটর এলাকার একটি নার্সিংহোমে। সেখানে গিয়ে তিনি গতকালের ঘটনার জন্য স্থানীয় তৃণমূলের দুই সংখ্যালঘু কাউন্সিলর ও তাদের অনুগামীদেরই দায়ী করেন।