Sukanta Majumder On Mamata: 'আপনারা ফোঁশ করতেও তো পারেন', আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিপ্তে ঘুরিয়ে দলীয় কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রী 'অ্যাকশনের' বার্তা দিতে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর । বুধবার তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ দিবস উপলক্ষ্যে মেয়ো রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বদলা নয়, বদল চাই নীতিতেই বিশ্বাসী তিনি। কিন্তু লাগাতার আক্রমণ নেমে এলে, উল্টো দিক থেকে কেউ কামড়াতে এলে, ফোঁস করার অধিকার রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বাংলাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে অশান্ত করার চেষ্টা করলে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করলে বিহার থেকে মণিপুর এমনকী দিল্লিতেও মোদীর গদি টলে যাবে। মমতার এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই আক্রমণে নেমেছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যকে অশান্ত করার যে ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন এজন্য আমি কেন্দ্রীয় সংস্থা যারা দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করেন তারা মুখ্যমন্ত্রীর উপর কড়া নজর রাখুন। তিনি কোন বৈদেশিক শক্তির সঙ্গে বৈঠক করছেন সেই সব বিষয়ে নজর রাখাটা বিশেষ জরুরি"। এর সঙ্গে তিনি বলেন, 'মমতা যে ভাষায় কথা বলেছেন তা জামাতের ভাষা, ভারত বিরোধী শক্তির ভাষা'।
আরজি কর কাণ্ডে যেভাবে প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে দেশ জুড়ে, রাজ্য জুড়ে গতকাল ছাত্র সমাজ যেভাবে আন্দোলন করছে তা দেখে ভয় পেয়েছে মমতা। এমনই উল্লেখ করে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, " আজকের ধর্মঘটকে বানচাল করার মমতা সরকারের প্রচেষ্টাই প্রমাণ করে দিচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে স্লোগান তুলে মমতার পদত্যাগের দাবি করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, "ভয় পেয়েছে দিদিভাই, ইস্তফা ছাড়া গতি নাই"। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসম সহ একাধিক রাজ্যে সমস্যা সৃষ্টি করার হুশিয়ারির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন - [ President Murmu: 'অনেক হয়েছে'! আরজি কর কাণ্ডে এবার গর্জে উঠলেন রাষ্ট্রপতি
এর পাশাপাশি জুনিয়ার ডাক্তারদের কাজে ফেরানোর আর্জির আড়ালে তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে বলেও এদিন বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। এদিন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " ডাক্তারদের আন্দোলনকে আমরা মানবিক ভাবেই দেখছি। আজও জুনিয়ার চিকিৎসকদের একটা প্রতিবাদ মিছিল আছে তাতে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে এবার ধীরে ধীরে কাজে ফিরুন। আমি চাই না কোন জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে। তাতে তাঁর কেরিয়ারটা শেষ হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন তিনি। আমি জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি সহানুভূতিশীল, কিন্তু আন্দোলনে্র জন্য সাধারণ গরীব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। আমি অ্যাকশন নিতে চাই না। অ্যাকশন নিলে চিকিৎসকদের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, এটা আমরা চাই না। ' যদিও মমতার এই বক্তব্যের পরও জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন।