FIR Against Suman Dey of ABP Ananda: সন্দেশকালিকাণ্ডে পুলিশের বিষনজরে সংবাদ মাধ্যম! রিপাবলিক বাংলার সন্তু পানের পর এবার এফআইআর দায়ের হয়েছিল বাংলা বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে'র বিরুদ্ধে।সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে ডেকেছিল পুলিশ। যাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করা হয় ওই বৈদ্যুতীন সংবাদ মাধ্যমের তরফে। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সুমন দে'র বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। যা স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, 'গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আক্রমণ ভোঁতা হয়ে গেছে। হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানাই'।
গত দেড় মাস ধরে চর্চায় সন্দেশখালি। যা নিয়ে ওই বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের জনপ্রিয় সান্ধ্য শো 'ঘন্টা খানেক সঙ্গে সুমন' প্রচারিত হয়। অভিযোগ, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই অনুষ্ঠানেই সন্দেশখালি নিয়ে 'মিথ্যা' ও 'বিভ্রান্তিকর' তথ্য সম্প্রচার করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের হোস্ট স্বয়ং সুমন দে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধেই ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সন্দেশখালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মহঃ মোনায়েম হাসান।
গত ১৩ ফের্বরুয়ারি দায়ের করা অভিযোগে সাব-ইন্সপেক্টর মহঃ মোনায়েম হাসান বলেছেন, 'গত ১২ ফেব্রুয়ারি সুমন দে আয়োজিত ঘন্টা খানেক সঙ্গে সুমন সম্প্রচারের সময় বার বার উল্লেখ করা হয়েছিল যে, সন্দেশখালি থানার তরফে বসিরহাট আদালতে ধৃত সুশান্ত সর্দার ওরফে উত্তম সর্দার এবং বিকাশ সিংকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চায়নি।'
সাব-ইন্সপেক্টর মহঃ মোনায়েম হাসানের দাবি, 'সেই সম্প্রচার ছিল সম্পূর্ণ 'মিথ্যা' এবং 'বিভ্রান্তিকর'। সন্দেশখালিতে শান্তি বিঘ্নিত করার জন্যই ওই খবর প্রচার করা হয়েছিল।' ওই পুলিশ কর্তার দাবি, 'প্রকৃত খবর হল যে, সংশ্লিষ্ট মামলার আইও, ধৃতদের আদালতে পেশের সময় উভয়ের ক্ষেত্রেই ১০ দিন পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিল।'
ওই পুলিশকর্তার মতে, 'এটি মারাত্মক এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে, যা বেআইনি। এর মাধ্যমে জনগণের একটি অংশকে গুরুতরভাবে উস্কানি দেওয়া হয়েছে যা হিংসা, অপরাধের কারণ হতে পারে।'
অভিযোগে সন্দেশখালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মহঃ মোনায়েম হাসান বলেছেন, 'এই ধরণের উস্কানিমূলক মিথ্যা বক্তব্যের কারণে ১৩ ফেব্রুয়ারি বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলাকালীন জনতা হিংস্র হয়ে ওঠে এবং কর্তব্যরত পুলিশকে ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন।'
এই এফআইআর-য়ের নিন্দায় মুখর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, 'বাংলার মিডিয়ার বিরুদ্ধে নৃশংসতা পুরোদমে চলছে। সাংবাদিক সন্তু পানের পর এখন এফআইআর করা হয়েছে আরেকটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের হোস্ট সুমন দে'র বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করছে সরকার।'
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্সবার্তায় দাবি করেন যে, এই পদক্ষেপ আসলে সংবাদমাধ্যমকে সন্দেশখালির ঘটনা দেখানো থেকে বিরত করার চেষ্টা। তিনি লিখেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এখন সাংবাদিক সুমন দে'র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। সন্দেশখালি কভার করা থেকে মিডিয়াকে থামানোর মরিয়া প্রচেষ্টা চরমে পৌঁছেছে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ শাহজাহান শেখকে গ্রেপ্তার করার পরিবর্তে, বিজেপি নেতা এবং মিডিয়াকে ভয় দেখাতে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন- Aadhaar: চটজলদি ‘বাম্পার স্ট্রোক’! বাতিল আধার নিমেষেই সক্রিয়, কোন ‘জাদুবলে’ জানেন?