স্কুলগুলিতে ছুটি কি আরও বাড়ানো হবে? প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর এড়াল রাজ্য। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে এদিন মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে উচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে কলকাতা হাইকার্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, রাজ্যে বর্ষা এসে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, নতুন করে মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ার আশঙ্কাও নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত থাকার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী। দিনের পর দিন স্কুল বন্ধের জেরে মিড ডে মিল পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে বলে সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী।
এছাড়াও এদিন মামলাকারীর আইনজীবী জানান, এমনিতেই করোনার জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দিনের পর দিন বন্ধ ছিল। পড়াশোনার ক্ষেত্রে দারুণ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পড়ুয়াদের। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই বর্ষা এসে গেলেও স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশিকা খারিজের আবেদন জানান তিনি।
আরও পড়ুন- ‘লাখখানেক চাকরির ৫০-১০০টা ভুল কেস হতেই পারে’, ‘দিদিমণি’র ড্যামেজ কন্ট্রোল
যদিও শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী এদিন জানান, গরমের ছুটি স্কুলে বাড়ানো হলেও মিড-ডে মিল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়নি। এরপরই প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি কী আরও বাড়ানো হবে? যদিও এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পর্যন্ত এর আগে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ছিল। যদিও সেই ছুটি আরও ১১ দিন বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটির নির্দেশ দেওয়ার পর বেসরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি বাড়ানোর পরামর্শ দেয় রাজ্য। স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে এরপর কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। পড়ুয়াদের স্বার্থেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান মামলাকারী।