Advertisment

কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের শিকার মৎস্যজীবী

মাছ ধরার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের একাংশ জঙ্গল থেকে মধু কিংবা কাঁকড়া ধরারও চেষ্টা করেন৷ মোটা টাকা পাওয়ার আশায় কাঁকড়া ধরতে জঙ্গলে ঢুকে যান মৎস্যজীবীরা৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারালেন এক মৎস্যজীবী। মৃতের নাম বিষ্ণুপদ মণ্ডল (৩০)। বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের পীরখালি জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাৎই বাঘের আক্রমণের স্বীকার হন তিনজন মৎস্যজীবী। তিনজনের মধ্যে বিষ্ণুপদকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাঘ। সঙ্গীরা লাঠি নিয়ে ধাওয়া করায় বাঘ পালায়। কিন্তু বাঘের হামলায় শেষ পর্যন্ত প্রাণ যায় ওই মৎস্যজীবীর। কিছুদিন আগেও জঙ্গলের ভিতর খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের কবলে পড়েছিলেন আর একজন মৎস্যজীবী।

Advertisment

স্থানীয় সূত্রের খবর, মাছ ধরার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের একাংশ জঙ্গল থেকে মধু কিংবা কাঁকড়া ধরারও চেষ্টা করেন৷ মোটা টাকা পাওয়ার আশায় কাঁকড়া ধরতে জঙ্গলে ঢুকে যান মৎস্যজীবীরা৷ জঙ্গলে শিক গুঁজে মাটি খুঁড়লেই মেলে উন্নতমানের কাঁকড়া৷ আর সেখানেই ওত পেতে থাকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার৷ সুযোগ বুঝে শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ৷ ঘটে দুর্ঘটনা৷

আরও পড়ুন: বেআইনি অস্ত্রের ঘাঁটি এবার কলকাতার কাছেই

এই রেওয়াজ চলছে গত কয়েক দশক ধরেই৷ পেটের টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে ঢুকতে একপ্রকার বাধ্য হন সুন্দরবনের গোসাবা, কুলতলি, হিঙ্গলগঞ্জ, মথুরাপুর, নামখানা ব্লকের প্রায় দেড় লক্ষ মৎস্যজীবী৷ ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন মৎস্যজীবীর৷ হামলায় জখম হয়েছেন ১০ জনেরও বেশি।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির দিন কাটে আর্থিক দুর্দশায়৷ বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মৃত্যু হলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থাও রয়েছে৷ অভিযোগ, সরকারি প্রচারের অভাবে সেই তথ্য জানেন না মৎস্যজীবীদের পরিবারের অনেকেই৷ আর জানলেও ক্ষতিপূরণের সেই টাকা পেতে বছর কেটে যায়৷

Royal Bengal Tiger
Advertisment