Rudranil Ghosh-BJP: আসানসোল বাদ দিলে এরাজ্যে আর মাত্র ৩টি আসনে BJP-র প্রার্থী দেওয়া বাকি রয়েছে। আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা হলেও ভোজপুরী নায়ক-গায়ক পবন সিং (Pawan Singh) নিজে প্রথমে জানিয়েছিলেন তিনি আসানসোল (Asansol) থেকে প্রার্থী হতে চান না। যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরেছেন বলেও সূত্রে খবর। আগে দু'দফায় লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Polls 2024) যে প্রার্থী তালিকা BJP ঘোষণা করেছে তাতে নাম নেই রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh)। দল প্রার্থী না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিজেপির এই তারকা নেতা। এবার সেই রুদ্রনীল ঘোষকেই বৈঠকে ডাকলেন এরাজ্যে বিজেপির প্রধান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশাল (Sunil Bansal)। তবে কি এবার শিকে ছিঁড়তে চলেছে? যে কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থী ঘোষণা বাকি, তারই একটিতে কি প্রার্থী হতে চলেছেন বর্তমানে BJP-র কালচারাল সেলের ইনচার্জ রুদ্রনীল ঘোষ? জল্পনা চড়ছে।
দিন কয়েক আগেই দলের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সংযুক্ত ৭০টিরও বেশি WhatsApp গ্রুপ থেকে 'লেফট' করে গিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। যা নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়ায়। রুদ্রনীল নিজে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও তাঁর প্রার্থী না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঠিক আগে রুদ্রনীলের মতো একজন তারকা নেতার এই উষ্মায় অস্বস্তিতে পড়েছিল বঙ্গ বিজেপিও। শেষমেশ সেই রুদ্রনীলকেই বৈঠকে ডাকলেন এরাজ্যে বিজেপির প্রধান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক।
এরাজ্যে দুই পর্বে ৩৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে BJP। তবে সেই প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়নি রুদ্রনীল ঘোষের। এরাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের মতো কেন্দ্রে BJP প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
দিকে, এরাজ্যের দুই কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনও হতে চলেছে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Polls 2024) সঙ্গেই। বরানগর ও ভগবানগোলা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। বরানগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দাপুটে নেতা সজল ঘোষকে (Sajal Ghosh)। ভগবানগোলায় বিজেপির বাজি ভাস্কর সরকার।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: ‘উনি যেভাবে মার্জিন বাড়ান সবাই জানেন’, মারাত্মক তিরে অভিষেককে ধুয়ে দিলেন দিলীপ
সুতরাং রুদ্রনীলকে প্রার্থী করতে গেলে চার লোকসভা কেন্দ্রই পড়ে রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) লড়াই যে 'কাঁটে কি টক্কর' হতে চলেছে, তা বিলক্ষণ জানেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারেরা। তবে কি রুদ্রনীলকে 'বাঘের মুখে ঠেলে ফেলা' হবে? ডায়মন্ড হারবার থেকেই কি শেষমেশ ভোটে লড়ার টিকিট পেতে চলেছেন রুদ্রনীল? উত্তরটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
সেটা না হলে ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের মতো কেন্দ্র কিংবা শেষমেশ পবন সিংকে আসানসোল থেকে তুলে নেওয়া হলে ওই কেন্দ্রেও প্রার্থী করা হতে পারে রুদ্রনীলকে। সেটাও যদি না হয়, তবে কি তারকা নেতার মা ভাঙাতে দলের কেন্দ্রীয় কোন পদ দেওয়া হতে পারে রুদ্রনীলকে? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের একাংশ।