বাগুইআটি-কাণ্ডে আগেই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সেই ক্ষোভের কথা গোপনও করেননি। তদন্তের গোড়ার দিকেই ক্লোজ করা হয়েছিল বাগুইআটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে। শুধু তাই নয়, তদন্তভার রাজ্য পুলিশের থেকে নিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছিল সিআইডির হাতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে ডিজিকে ডেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন।
এবার সেই উষ্মার পরবর্তী পদক্ষেপ দেখল রাজ্যবাসী। তড়িঘড়ি বদলি করা হল বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে। তাঁকে তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক ও রোড সেফটির এডিজি ও আইজি পদে বদলি করা হল। যদিও একে রুটিন বদলির বেশি বদলে নারাজ রাজ্য প্রশাসন। সুপ্রতিম সরকারের জায়গায় বিধাননগরের কমিশনার করে আনা হল শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মাকে। ইতিমধ্যেই এনিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- ‘ভারত জোড়ো’য় বিরাট সাফল্য! জোট চাইলে কংগ্রেসকেই নেতা মানতে হবে, স্পষ্টকথা রমেশের
গত ২২ আগস্ট বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দুই পড়ুয়া অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নিখোঁজ হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজির পর দু'দিন কাটলেও খোঁজ মেলেনি ওই পড়ুয়াদের। এরপরই বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে অতনু ও অভিষেকের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছে ওই দুই ছাত্রকে। অপহরণকারী মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ পাঠিয়েছে। মুক্তিপণের অর্থের পরিমাণ বারবার বদলানো হয়েছে বলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় অপহৃত ছাত্রদের পরিবার।
এই ঘটনার প্রায় ১৩ দিন পর বসিরহাট পুলিশ জেলা থেকে উদ্ধার হয় অপহৃত ওই দুই ছাত্রের দেহ। ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্তভার হাতে নিয়েই সাফল্য পায় সিআইডি। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয় হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে। তদন্তে জানা যায়, বারবার সিম পাল্টে ও বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল অভিযুক্ত। হাওড়া স্টেশন থেকে সে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টায় ছিল।