সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য। লোকসভা নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে দুজন অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের নিয়োগ করেছিল নির্বাচন কমিশন। বাংলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সেই আর্জিই এদিন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। যেহেতু লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে তাই এই মামলার কোনও গুরুত্ব নেই। চাইলে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে পারত রাজ্য সরকার। এ মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
Supreme Court dismisses a plea challenging the appointment of two retired bureaucrats as special observer and central police observer in West Bengal for the Lok Sabha polls. Court observed that elections are over & the petitioner may approach the Kolkata High Court. pic.twitter.com/FbF9q87hrv
— ANI (@ANI) 21 May 2019
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন সুষ্টভাবে করানোর জন্য নির্বাচনের কমিশনের তরফ থেকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস বিবেক দুবেকে। ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিবেক দুবে। ২০১৫-তে অন্ধ্রপ্রদেশের এডিজি ওয়েলফেয়ার হিসেবে অবসর নেন। সিবিআইয়ে থাকাকালীন তিনি বিলকিস বানো মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর হিসেবে আবু সালেমের প্রত্যর্পণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই দুঁদে আইপিএস।
আরও পড়ুন ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে ২০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন পশ্চিমবঙ্গে
এবারের নির্বাচনে বাংলাকে যে বিশেষ নজরে রেখেছিল কমিশন, তা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। প্রথম দফার ভোটে ‘বিক্ষিপ্ত অশান্তি’র পর বাংলায় দ্বিতীয় দফার ভোট সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে অজয় নায়েককে নিয়োগ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ১৯৮৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার অজয় নায়েক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মতো বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়েও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আপত্তি ছিল বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহল। বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও ছিল আপত্তির সুর। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের বিভিন্ন জনসভা থেকে নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেন দুজন 'অবসরপ্রাপ্ত' আইপিএসকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে বাংলায় পাঠানো হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন উনিশের রায়ের আগে একঝলকে বাংলার ৪২ কেন্দ্র
উল্লেখ্য, বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট করার লক্ষ্য নিয়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হলেও সপ্তম দফার শেষে বাংলায় বহাল ছিল অশান্তির বাতাবরণ। যদিও নির্বাচনের কমিশনের দাবি বাংলায় 'শান্তিপূর্ণ' এবং 'সুষ্ঠ'ভাবে সম্পন্ন হয়েছে গণতন্ত্রের এই উৎসব।