গত ১১ বছরের নেতা, মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে বিদ্ধ তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের ১৯ জন নেতা, মন্ত্রীর সম্পত্তি ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। ইডি-কে দিয়ে তদন্তের দাবিতে সেই মামলা হয়। ওই মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা সহ অন্যান্যরা। সেই মামলাতেই শুক্রবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি কয়েক গুণ বেশি হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন ১৯ জন তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী। কারও কারও সম্পত্তি ১০০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে তা সম্ভব হল, সেই বিষয়টিই ইডিকে খতিয়ে দেখতে আবেদন করা হয় ২০১৭ সালে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায়।
সেই মামলায় গত মাসেই তৃণমূল নেতাদের আয়বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এর বিরুদ্ধেই স্বর্ণকমল সাহা সহ তৃণমূলের নেতারা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার ছিল ওই মামলার শুনানি। এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত।
সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলার তালিকায় নাম আছে তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, অমিত মিত্র, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জাভেদ খান, শোভন চট্টোপাধ্যায়েরএছাড়াও, দুই প্রয়াত নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডেরও নাম এই মামলায় নাম রয়েছে।
তবে, বিরোধীদের নিশানা করে তৃণমূলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। বিরোধী ১৭ জন নেতার বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তালিকায় নাম রয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ কুমার ওরান, আব্দুল মান্নান, মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত, বিশ্বজিৎ সিনহা, অনুপম হাজরা, মহম্মদ সেলিম এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি।