নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত একদা তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা ও কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-কে নির্দেশ দেয় আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক। গত ৫ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এতেই ধাক্কা খেল সিবিআই। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে না। সিবিআই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
জেলে জেরার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে গত এপ্রিলে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। যা নিয়ে হইচই পড়েছিল। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত এবং হেস্টিংস থানায় চিঠি লেখেন কুন্তল ঘোষ। চিঠির বয়ান মিথ্যা এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি ইডি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে বলেন।
পরে এজলাস পরিবর্তন হয়ে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে চলে যায়। সেখানেও বিতারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েক নির্দেশই অপরিবর্তিত থাকে। পাল্টা ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কুন্তল ঘোষ। গত ৪ অগস্ট শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণ, হেফাজতে নির্যাতন সংক্রান্ত চিঠির অভিযোগে কোনও মতামত দেয়নি হাইকোর্ট। তাই বিশেষ আদালতে অভিযোগ জানাতে বাধা নেই কুন্তলের। তিনি চাইলে চিঠি বিশেষ আদালতে জমা দিতে পারেন। সেই মোতাবেক আলিপুরের বিশেষ আদালতে চিঠি লিখে আবেদন করেন বহিষ্কৃত হুগলির তৃণমূল নেতা। সেখানে সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা ও কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-কে কুন্তলের চিঠির তদন্ত করতে নির্দেশ দেন আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক। এতেই আপত্তি তোলে সিবিআই।