টেট দুর্নীতি নিয়ো তোলপাড় রাজ্য। কাঠগড়ায় পর্ষদেরই প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়ককে ওই পদ থেকে সরে যেতে হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, অপসারণ সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সঠিক ছিল না। ফলে হাইকোর্টের ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
মানিক ভট্টাতার্যের ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব-সহ তাঁর পারিবারিক সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামার আকারে কলকাতা হাইকোর্টে জমা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ জারি হল।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট, সিবিআইয়ের মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবচ বহাল রেখেছে। সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে টেটে দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে চরম কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ ছিল, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতেই সিবিআইয জেরার সামনে বসতে হবে অপসারিত পর্ষদ সভাপতিকে। কিন্তু সেই সময় মানিকবাবু দিল্লিতে ছিলেন। তারপর সুপ্রিম কোর্টর দ্বারস্থ হন তিনি। শর্তসাপেক্ষে প্রথমে দু'দিন ও পরে দশ দিনের রক্ষাকবচ পান মানিক ভট্টাচার্য। যদিও ১০ অক্টোবর গভীর রাতে ইডি মানিককে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে মানিকের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। সিবিআইয়ের গ্রেফতারিতে সুপ্রিম রক্ষাকবচ সত্ত্বেও ইডি কীভাবে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করল? মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছে।