শূন্য পদে অযোগ্যদের বেনামি আবেদন মামলায় বড় স্বস্তি এসএসসি ও রাজ্যের। বেনামী আবেদন মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই বহাল রেখেছিল। অর্থাৎ বেনামিদের কারা নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তার সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল থাকে। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করে স্কুল সার্ভিশ কমিশন ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই মামলায় শুক্রবারের শুনানিতে, সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। শূন্য পদে অযোগ্যদের বেনামি আবেদন মামলায় তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে প্রাধন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি নির্দেশ উল্লেখ, এই মামলায় শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকেও নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হবে না।
কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে যখন নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি, তখন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে শিক্ষকদের জন্য ফের অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়। কমিশন আদালতে বলেছে, অনেকেই তিন-চার বছর ধরে চাকরি করছেন, তাঁদের পরিবার রয়েছে, তাদের কথা ভেবেই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। অযোগ্যদের চাকরির আর্জিও জানায়নো হয় এসএসসি ও রাজ্যের তরফে। যা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যয়।
অযোগ্যদের নিয়োগের পরিকল্পনা কার? এই বিষয়ে জানতে শিক্ষা দফতরের সচিবকে আদালতে তলব করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে সচিবের হাজিরা যাতে না দেওয়া হয় সে বিষয়েও আবেদন জানানো হয়। আর সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের শীর্ষ আদালতে আবেদন করে কমিশন ও রাজ্য সরকার।