গরুপাচার মামলার তদন্তে এর আগে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা পৌঁছায় সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ব্যাঙ্কের ৫০টি অ্যাকান্টে একজনেরই সাক্ষর রয়েছে। অর্থাৎ বেনামে ১৫০ অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করা হয়েছে। একজনই এইসব অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতেন। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট গুলি রয়েছে, তাদের অধিকাংশই গরিব কৃষক। ওই ১৫০ অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা রয়েছে।
সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের এই সব বেনামি অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে গরু পাচারের প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। মিলেছে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও। গরুপাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু এবং ভোলে ব্যোম রাইস মিলেও তল্লাশি চলেছিল। সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সেই সংক্রান্ত কিছু রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
সবকিছু খতিয়ে দেখতে এ দিন আসানসোল কোর্ট থেকে সিউড়িতে যান সিবিআইয়ে গোয়েন্দা সুশান্ত ভট্টাচার্য ও অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার স্বরূপ দে। সেখান থেকে তাঁদের গন্তব্য সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্ক। ওই ব্যাঙ্কার ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। নথি দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ম্যানেজার অসহযোগিতা করলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সিবিআই গোয়েন্দা দল।
উল্লেখ্য, বীরভূমের সিউড়ি সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতিতে পরিচালকরা জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আইনজীবীরা এদিন জামিনের আবেদনও করেনি। অনুব্রতকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেছে সিবিআই।