একমাস আগেই আদালত চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে। বেআইনি নিয়োগ মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বরখাস্ত শিক্ষকরা সকলেই ২০১৪ টেট থেকে ২০১৭ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে আতশ কাচের তলায় ২০১৭ সালে প্রাথমিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪২৯৪৯ জন শিক্ষক, শিক্ষিকাও। এবার তাঁদের তালিকা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের থেকে চেয়ে পাঠাল পর্ষদ। টুইট করে এই খবর জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআইএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক বোর্ডের লেটারহেডে লেখা একটি চিঠি নিজের টুইটারে পোস্ট করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। লিখেছেন, '২০১৪ টেট থেকে ২০১৭ সালে প্রাথমিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪২২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক/শিক্ষিকার তালিকা এক্সেল শিট আকারে চেয়ে পাঠাল পর্ষদ। এই ৪২২৬৯ জনই মূলত CBI এর আতশ কাচের তলায়। শোনা যাচ্ছে এখনো বেশ কয়েক হাজার শিক্ষক/শিক্ষিকা তাদের টেট পাশের নথিপত্র জমা করেনি অথবা করতে পারেননি।'
গত ১৩ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৪ টেট দুর্নীতি মামলার নির্দেশে জানিয়েছিলেন যে, ২০১৭ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা বেআইনি। ফলে, ওই তালিকার ২৬৯ জনের নিয়োগও বেআইনি। তাই ওই মামলার প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্ত হবে। এছাড়া, ২৬৯ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট। বরখাস্ত ২৬৯ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন- বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করবে বাংলার স্কুল পড়ুয়ারা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ
অভিযোগ, বরখাস্ত ২৬৯ জনকে পরীক্ষায় বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল। যার প্রতিবাদে ২০১৪ টেট থেকে ২০১৭ সালে প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পর্ষদের তরফে সাফাই ছিল যে, সে বছর টেট পরীক্ষায় একটি প্রশ্নে কিছু ভুল ছিল, তাই ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের প্রশ্ন ছিল যে, ২৬৯ জন ১ নম্বর বেশি পেলে কেন বাকিরা পাবেন না। এরপরই নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মান্যতা দেয় আদালত।