ফের মুর্শিদাবাদে আল-কায়দা সন্দেহভাজনের হদিশ। জলঙ্গির নওদাপাড়া গ্রাম থেকে আল-কায়দার যোগ রয়েছে- এই সন্দেহেই তল্লাশি চালিয়ে শামিম আনসারিকে আটক করেছে এনআইএ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি।
প্রতিবেশীদের দাবি, শামিম পেশায় রাজমিস্ত্রি। কেরালায় একবছর আগেই গ্রামে ফিরেছেন। বাড়িতে স্ত্রী-পরিবার নিয়ে একবছর ধরে রয়েছে সে।
২১ সেপ্টেম্বর আল-কায়দা জঙ্গি দাবি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ যে ৬ জনকে দিল্লিতে ধরে নিয়ে গিয়েছে, তাদেরই অন্যতম আল মামুন কামাল। এনআইয়ের দাবি, আল মামুন কামালের সঙ্গে শামিমের যোগ রয়েছে। এনআইয়ের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে মালদার দুই যুবকও ।
জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের সক্রিয় মদতেই পশ্চিমবঙ্গে আল-কায়দার ভিত দৃঢ় হচ্ছে বলে মনে করে এনআইএ। তদন্তকারীদের কথায়, ভারতে নিষিদ্ধ জেএমবি। এই জঙ্গি সংগঠনে বহু নেতাই জেলে। তাই পরিয়ায়ী বাঙালি শ্রমিকদের মগজ ধোলাই করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে আল-কায়দার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে পাকিস্তান থেকে।
আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এর্নাকুলামে তল্লাশি চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও বহু নথি। ধৃতরা দিল্লি সহ দেশের নানা প্রান্তে নাশকতা ঘটানোর লক্ষ্যেই কাজ করছিল বলে দাবি এনআইএ গোয়েন্দাদের।
ধৃতদের জেরায় উটে এসেছে য়ে, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়- অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে রয়েছে জঙ্গি নেটওয়ার্ক।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন