সেচ দফতরে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর সেই তদন্তেরই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে বিরোধী দলনেতা ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চাকরি দেওয়া নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা সহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় মানিকতলা থানার পুলিশ রাখালকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত রাখাল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলার তদন্তে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই রাখালের বিরুদ্ধেই সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা এক যুবকের অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী সেচমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন রাখাল। প্রতিশ্রুতি ছিল প্রথমে অস্থায়ী, পরে স্থায়ী সরকারি চাকরি হবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। পরে প্রতারিত ওই যুবকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬০ জনের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত।
ইয়াসে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞঢ্চলের বহু বাঁধ ভেঙেছে। বাঁধ নির্মাণে ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। সেচ দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই দুর্নীতির শিকড় অনুসন্ধানে তৎপর পুলিশ। সেই সূত্রেই তদন্তে নেমে গ্রেফতার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। এ যেন অনেকটা কান টেনে বাঁধ দুর্নীতির তদন্তে মাথাদের খোঁজার চেষ্টা পুলিশের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন