উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রশাসনের একাংশকেই দুষছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের নাকের ডগায় দিনের পর দিন ধরে অবৈধ বাজি তৈরির রমরমা কারবার চলছিল বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। 'বেআইনি বাজির কারবারে যোগ তৃণমূলের', বিস্ফোরণ নিয়ে শাসকদলকেই আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
এগরার পর এবার দত্তপুকুর। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নারায়ণপুর। ভয়াবহ বিস্ফোরণে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আস্ত দোতলা বাড়ি। ওই বাড়িতেই চলছিল বেআইনি বাজি তৈরির কাজ। বিস্ফোরণের ভয়াবহ তীব্রতায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ভেঙে পড়ে। মারাত্মক এই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দত্তপুকুরে বিস্ফোরণে মৃত্যু-মিছিল, মারাত্মক আশঙ্কা নওশাদের
এদিকে, দত্তপুকুরের নারায়ণপুরে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাড়ে ৩ মাস আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতেও একইভাবে বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েচিল। এদিন টুইটে সেই বিষয়টিরও উল্লেখ করে শাসকদলকে আক্রমণ শানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী এদিন টুইটে লিখেছেন, 'মৃতদেহ এখনও গণনা হচ্ছে। সম্ভবত ১০ ছাড়িয়ে যাবে। এগরায় বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যুর পর বেআইনি বাজির কারবারে রাশ টানা নিয়ে পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিল সরকার। ক্লাস্টার তৈরির কথা জানানো হয়েছিল। এখন মনে হচ্ছে সেটা ছিল নিছকই একটা পাবলিসিটি স্টান্ট। যাতে ওই সময়ে টানটান উত্তেজনা ও জনগণের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া আটকানো যায়।'
আরও পড়ুন- দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ধূলিস্যাৎ দোতলা বাড়ি, মৃত্যু-মিছিলে হাহাকার
শসাকদলকে বিঁধে তিনি আরও লিখেছেন, 'এবারও কোনও ব্যবস্থা ওরা নেবে না। বরং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করবে মিডিয়ার মনোযোগ কমে যাওয়ার জন্য। এই বেআইনি বিস্ফোরক উত্পাদন ইউনিটগুলির সঙ্গে তৃণমূলের স্বার্থ জড়িত। তৃণমূলের গুণ্ডারা কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না।'