Advertisment

'তৃণমূল' বিধায়করাই ভোট দিয়েছেন বিজেপির দ্রৌপদীকে, কমিশনের পরিসংখ্যান দিয়ে প্রমাণ দাখিল শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সংসদেও এরকম ক্রস ভোটিং হয়েছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদ আছেন। তার মধ্যে অন্তত চার জন সাংসদ দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
assembly voting

দলের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থী যশবন্ত সিনহা নন। বরং, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের কয়েকজন বিধায়ক-সাংসদ। এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিন রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে শুভেন্দু এই ক্রস ভোটিংয়ের প্রমাণ দিয়েছেন।

Advertisment
publive-image

প্রমাণপত্র হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান। যে পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে ৭১ জন বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন।

অথচ, খাতায়-কলমে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কসংখ্যা ৭০। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। তৃণমূলের কার্যালয়ে গিয়ে দলের উত্তরীয়ও পরেছেন। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে তাঁরা কতটা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে রয়েছেন, সেই প্রশ্ন বৃহস্পতিবার তুলে দিল কমিশনের পরিসংখ্যান।

publive-image

যা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, রাজ্য বিধানসভা থেকে দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে ভোট পড়েছে ৭১টি। এছাড়াও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূলের চার বিধায়ক তাঁদের ভোট বাতিলযোগ্য করেছেন। কারণ, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের হুইপ মেনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিতে চাননি। শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, দ্রৌপদী মুর্মুকে রাজ্যের ৭০ জন বিজেপি বিধায়কের ৭০ জনই ভোট দেবেন। তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাওয়ায় রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সংসদেও এরকম ক্রস ভোটিং হয়েছে।

লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদ আছেন। তার মধ্যে অন্তত চার জন সাংসদ দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন বলেই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।

আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজেপিকে ‘লাইনে আনতে’ বিরাট উদ্যোগ, ভিনরাজ্যের নেতা এলেন দায়িত্বে

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের বহু নেতা-নেত্রীই হামেশাই প্রকাশ্য জনসভায় দাবি করে থাকেন, দরজা খুলে দিলে বিজেপিতে হাতেগোনা দু'-একজন ছাড়া আর বিধায়ক থাকবে না। সবাই তৃণমূলে চলে আসবে। কার্যত সেই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল শুভেন্দু অধিকারীর এই পরিসংখ্যান। যার ভিত্তিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের পালটা প্রশ্ন, যাঁরা এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন, তাঁরা আদৌ এখনও মানসিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন তো?

West Bengal Droupadi Murmu Presidential Election 2022
Advertisment