আবারও বিরোধী দলনেতার নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সংস্থা ওয়েবেলের টেন্ডার আইপ্যাকের ঘনিষ্ঠ সংস্থাকে অবৈধভাবে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। এক্ষেত্রে দেড়শো কোটির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। টেন্ডার 'দুর্নীতি' নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন শুভেন্দু।
মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের অধীনে 'মুখ্যমন্ত্রীকে বলো' বলে একটি কর্মসূচি চালু রয়েছে। সেই কর্মসূচি রূপায়নের জন্য টেন্ডার ডেকেছিল তথ্য প্রযুক্ত দফতর। সেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দেড়শো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। এব্যাপারে শুভেন্দুর নিশানায় তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা আই প্যাক। আই প্যাক ঘনিষ্ঠ সংস্থাকে দেড়শো কোটির টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে আই প্যাক। পরিকাঠামো তৈরির জন্য তথ্য প্রযুক্তি দফতরকে টেন্ডার দেওয়া হয়। কয়েকটি সংস্থা টেন্ডারে অংশ নেয়। দিল্লির একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সংস্থার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করেন তথ্য প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকরা। নিয়োগে আই প্যাকের পছন্দের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়। জনগণের দেড়শো কোটি টাকা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর আই প্যাককে পাইয়ে দিল।'
শুভেন্দুর কথায়, 'ওয়েবেলের থেকে টেন্ডার কেড়ে WBTL-কে দেওয়া হয়। এটা প্রমাণিত চুরি। সব তথ্য আমার কাছে আছে। আইএএস অফিসাররা আমাকে দিয়েছেন। সরকারি তহবিল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাড়ে ৩০০ জনকে ওরা নিয়োগ করেছে। ওয়েবেল যে টেন্ডার পেয়েছিল তার মূল্য ছিল ১২০ কোটি টাকা। WBTL যে টেন্ডার পেল সেই টেন্ডারের মূল্য ১৫০ কোটি টাকা। তার মানে কি ৩০ কোটি টাকা কাটমানি খেয়েছে। মোট ১৫২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আইপ্যাককে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছে রাজ্য। জনগণের টাকা আই প্যাককে দিচ্ছে।'
এই 'দুর্নীতি' নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, 'এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যোগ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের। মুখ্যমন্ত্রীর এবিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত। এই দুর্নীতির সাফাই দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।'