শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলী ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ সপ্তমে চড়ল নন্দীগ্রামে। একই ব্যানারে কাছাকাছি সভা বিজেপি-তৃণমূলের। যুযুধান দুই রাজনৈকিক প্রতিপক্ষের একে অপরকে প্রবল আক্রমণ। শদিদ সভায় আবাস দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়ালেন শুভেন্দু। আগামী সপ্তাহে রাজ্যের আরও ১৫ জেলায় কেন্দ্রীয় দল আসছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিজেপি নেতা। অন্যদিকে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম আন্দোলনকারীদের এজেন্সি দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সরব তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
শহিদ দিবসে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ল নন্দীগ্রামে। এদিন নন্দীগ্রামের দুই আলাদা জায়গায় শহিদ সভার আয়োজন করে বিজেপি-তৃণমূল। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে আলাদা-আলাদা সভা বিজেপি-তৃণমূলের। এদিন শহিদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস দুর্নীতি নিয়ে তুমুল আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে।
শুভেন্দু এদিন বলেন, 'পাকা বাড়ি বা ইন্দিরা আবাস বা গীতাঞ্জলী পাওয়া বাড়িতে যদি টাকা নিয়ে থাকেন টাকা ফেরত করাব। মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুরে আমার অভিযোগেই টিম এসেছে। আগামী সপ্তাহে আরও ১৫ জেলায় টিম আসবে। অঞ্চল, গ্রাম ধরে ধরে চোরদের যদি চিহ্নিত করতে না পারি আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়।'
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকও করেন বিজেপি নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সম্ভবত সেই বৈঠকেই রাজ্যে আবাস-দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর কথা হয়ে থাকতে পারে গিরিরাজ-শুভেন্দুর। শনিবার নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়া ব্রিজের ২০০ মিটারের মধ্যেই শহিদ সভা করে বিজেপি।
আরও পড়ুন- ‘বেসুরো’ তৃণমূল বিধায়ক কি এবার পদ্মে? সাতসকালে বোমা ফাটালেন দিলীপ
অন্যদিকে, এদিন নন্দীগ্রামেই ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারেই শহিদ সভার আয়োজন করে তৃণমূলও। সেই সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রামের আন্দোলনকারীদের শুভেন্দু এজেন্সি দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার।
পরে সংবাদমাধ্যমে কুণাল আরও বলেন, 'জনগনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। দিল্লির মদতে ও ভরসায় কখনও টিম পাঠানো বা জোড়াতালি দেওয়া পলিটিক্স। যেটা ওঁর দলের পুরনো নেতারাও পছন্দ করেন না। সস্তা ও ফাঁকিবাজি রাজনৈতিক হুমকি। আবাস নিয়ে স্পষ্টভাবে বলেছি যে অনিয়ম থাকলে সংশোধন হবে। দুর্নীতি নিয়ে কথা বললে সিবিআইয়ের কাছে আত্মসমর্পমণ করুক শুভেন্দু। কারণ, সিবিআইয়ের এফআইআরে তোলাবাজ হিসেবে ওর নাম আছে।'